শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ডলার এখন তেজীঘোড়া

যুক্তরাষ্ট্রের এক মুদ্রা বাংলাদেশের ১১২ টাকা খোলাবাজারে তীব্র সঙ্কট : গত ৬ মাসে বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫ টাকা বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন রিজার্ভ ২ বছর পর ৪০ বিলিয়ন

হাসান সোহেল | প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০২২, ১২:০৪ এএম

আন্তর্জাতিক বিনিময় মুদ্রা ডলারের লাগাম টেনে ধরাই যাচ্ছে না। প্রতিদিন তেজীঘোড়ার মতোই ছুটছে ঊর্ধ্বমুখে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেও ব্যাংকগুলোতে ডলার কেনাবেচা হয়েছে ৮৫ টাকা দরে। খোলাবাজারে তখন দাম ছিল ৮৭-৮৮ টাকা। গত ৭ মাসে ২৫ টাকা বেড়ে গিয়ে হয়েছে ১১২ টাকা। কার্যত দেশে হঠাৎ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের মূল্যমান লাগামহীন হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই এ মুদ্রার দাম বাড়ায় বিপরীতে কমছে বাংলাদেশের মুদ্রা টাকার মান। খোলাবাজারে টাকার বিপরীতে একদিনের ব্যবধানে প্রতি ডলার রেকর্ড ৬ থেকে ৮ টাকা বেড়ে ১১২ টাকা থেকে ১১২ দশমিক ৫০ টাকায় উঠেছে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ মুহূর্তে আমরা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। সঙ্কট নিরসনে বিদেশে ব্যাংকগুলোর আটকে থাকা ডলার দ্রুত ফেরত আনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। আশা করছি, কিছু দিনের মধ্যেই ডলারের বাজার একটা ভারসাম্যের মধ্যে আসবে। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ডলারের দাম বৃদ্ধির ভুক্তভোগী সবাই। ব্যবসায়ীরাও চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।

জানা যায়, গত সোমবারও খোলাবাজারে ডলারের দাম ছিল ১০৫-১০৬ টাকা। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দেশে আন্তঃব্যাংক বাজারের সঙ্গে খোলা মুদ্রাবাজারেও (কার্ব মার্কেটে) ডলারের দাম একদিনের ব্যবধানে বেড়েছে ছয় টাকার বেশি। এ দামেও আশানুরূপ ডলার মিলছে না। এর আগে কখনও এক দিনে ডলারের দর এত বেড়ে এ পর্যায়ে ওঠেনি। যা এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ। অর এর নেতিবাচক প্রভাব দেশের জীবনযাত্রা ব্যয় থেকে শুরু করে দেশের সবকিছুতেই পড়েছে। এমনকি অতিরিক্ত দাম দিয়েও দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীরা ডলার পাচ্ছেন না। পড়ছেন নানামুখী ভোগান্তিতে। করোনা-পরবর্তী সময়ে আমদানি বেড়ে যাওয়ায় মূলত ডলারের এ সঙ্কট তৈরি হয়েছে। ডলার সঙ্কট নিয়ন্ত্রণে দেশে বিলাস পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত, সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের ওপর নিষেধাজ্ঞা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে নানামুখী পদক্ষেপ, কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের বাস্তবায়ন পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তসহ নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরের প্রথম থেকে এ পর্যন্ত ৭০ কোটির বেশি ডলার বিক্রি করেছে। এর ফলে রিজার্ভ ২ বছর পর ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে। কিন্তু কোনো কিছুতেই ডলারের বাজারে অস্থিরতা কমানো যাচ্ছে না।
এদিকে, ডলার নিয়ে ভয়াবহ কারসাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর সঙ্গে কিছু মানিচেঞ্জার প্রতিষ্ঠান, কিছুসংখ্যক অসৎ ব্যবসায়ী ও কয়েকটি ব্যাংক জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, অসৎ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ডলারের বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করেছেন এমন ধারণাও করা হচ্ছে। এজন্য এসব প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী ও ব্যাংকের লেনদেনের প্রতি পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও বিষয়টি নজরদারিতেই সীমাবদ্ধ থাকছে। অনেকে অভিযোগ করেছেন, সিন্ডিকেট করে ডলারের দাম বাড়ানো হচ্ছে। ব্যাংক ও কার্ব মার্কেট সংশ্লিষ্টরা ব্যবসা করার জন্য ডলারের দর বাড়াচ্ছেন। কিছু ব্যাংক ডলার বিক্রি করে বিশাল অঙ্কের মুনাফা করছে।

বেসরকারি এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল ইনকিলাবকে বলেন, দেশে আমদানি-রফতানির সিংহভাগ লেনদেনই হয় ডলারে। আর ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে এখন ঋণপত্রে অন্য মুদ্রার নাম উল্লেখ করা দরকার।

রাজধানীর মতিঝিল এলাকার কার্ব মার্কেটের ডলার বিক্রেতা আবুল বাশার বলেন, বাজারে ডলারের ব্যাপক চাহিদা। অনেক গ্রাহক আসছেন, কিন্তু তাদের সবার কাছে ডলার বিক্রি করতে পারছি না। বিক্রি করেছি ১১২ টাকা থেকে ১১২ দশমিক ৫০ টাকায়। অন্যদিকে, খুব কম মানুষই বাজারে বিক্রির জন্য ডলার নিয়ে আসছে।
মতিঝিল যমুনা মানি এক্সচেঞ্জের স্বত্বাধিকারী আনিসুজ্জামান বলেন, বাজারে ডলারের সঙ্কট। মঙ্গলবার ১১২ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এক দিন আগেও ১০৫ টাকা করে বিক্রি হয়েছে। এক দিনের ব্যবধানে এত দাম বাড়ার কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজারে ডলারের দাম উন্মুক্ত করে দেয়ার পর দাম বাড়ছেই। আর চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত ডলার নেই। অনেকে ডলার কিনে ধরে রাখতে চাইছে। অনেকে ডলার কিনতে এলেও সবাইকে দেয়া সম্ভব হয়নি। সংশ্লিষ্টরা জানান, খোলাবাজার থেকে যে কেউ ডলার কিনতে পারেন। ব্যাংক থেকে কিনতে পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট করতে হয়। যে কারণে অনেকে এখন খোলাবাজার থেকে ডলার কিনে শেয়ারবাজারের মতো বিনিয়োগ করছেন, যা অবৈধ।

ডলার কিনতে আসা ক্যান্সার-আক্রান্ত এক রোগীর আত্মীয় বলেন, আমার মামাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে হবে। এজন্য ৫ হাজার ডলার জরুরি প্রয়োজন। কিন্তু কোথাও ডলার কিনতে পারিনি। একজন বলেছে, তার কাছে দেড় হাজার ডলার আছে, তবে দাম চাচ্ছে সাড়ে ১১২.৫০ টাকা করে।

কার্ব মার্কেটের ব্যবসায়ী বেলাল বলছেন, খোলাবাজারে তীব্র সঙ্কট রয়েছে ডলারের। ব্যাংকের মতো খোলাবাজারেও ডলারের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। প্রবাসীদের দেশে আসা কমেছে, বিদেশি পর্যটকরাও কম আসছেন। এ কারণে ডলারের সরবরাহ কম। তাদের মতে, খোলাবাজারের সঙ্গে ব্যাংকের আমদানি, রফতানি ও রেমিট্যান্সেও ডলারের দর অনেক বেড়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচায় ব্যবসায়যুক্ত একজন বলেন, চলতি বছরের শুরু থেকেই খোলা বাজারে নিয়মিত ডলারের দাম বেড়েছে। গত ঈদুল আজহার আগেও বাজারে ডলারের দাম ১০০ টাকার নিচে ছিল। তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন ব্যক্তি ও এক্সচেঞ্জ থেকে ডলার কিনে থাকি। বিদেশগামী যাত্রীদের জন্য চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আমরা প্রয়োজনীয় ডলার সরবরাহ করতে পারছি না।

বেশ কিছুদিন ধরে খোলা বাজারের পাশাপাশি আন্তব্যাংক লেনদেনেও যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের দর বাড়তির দিকে। বিপরীতে টাকার মান কমছে। গত সোমবার আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার বিপরীতে ডলারের দর আরও ২৫ পয়সা বেড়েছে। প্রতিডলার ৯৪ টাকা ৭০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ব্যাংকগুলো এই দরে ডলার কিনেছে। গত বছরের ২৬ জুলাই প্রতি ডলারের দর ছিল ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা। এর বিপরীতে গত এক বছরে টাকার মূল্য কমেছে ১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আর গত তিন মাসের মধ্যে ১৯ বার বেড়েছে ডলারের দাম। আলোচ্য সময়েই টাকার মান কমেছে ৮ দশমিক ২৫ টাকা। এর আগে গত ২৯ মে দেশে ডলারের এক রেট ৮৯ টাকা বেঁধে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এই রেট উঠিয়ে দিয়ে ডলারের দর বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়। বাজারের উপর ছেড়ে দেওয়ার পর দু-এক দিন পরপরই বাড়ছে ডলারের দাম।

করোনা মহামারির কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরজুড়ে আমদানি বেশ কমে গিয়েছিল। কিন্তু প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ে উল্লম্ফন দেখা যায়। সে কারণে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়ে যায়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বাড়তে থাকে আমদানি ব্যয়। রফতানি বাড়লেও কমতে থাকে রেমিট্যান্স। বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভও কমতে থাকে। বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়; বাড়তে থাকে দাম। বাজার ‘স্থিতিশীল’ করতে গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় নতুন অর্থবছরেও বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে চলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের প্রথম থেকে এ পর্যন্ত ৭০ কোটির বেশি ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ফলে রিজার্ভ দুই বছর পর ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে।

ডলারের দাম পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু এর পর বড় ধরনের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে ডলার সয়মলট শুরু হয়, যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে। ২০২১ সালের আগস্টের শুরুতেও আন্তঃব্যাংক লেনদেনে প্রতি ডলারের মূল্য একই ছিল। ৩ আগস্ট থেকে দু-এক পয়সা করে বাড়তে বাড়তে গত বছরের ২২ আগস্ট প্রথমবারের মতো ডলারের দাম ৮৫ টাকা ছাড়ায়।

এদিকে, চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কেনাবেচা হয়েছিল ৮৫ টাকা ৮০ পয়সায়, যা ৯ জানুয়ারি বেড়ে দাঁড়ায় ৮৬ টাকায়। গত ২৩ মার্চ ৮৬ টাকা ২০ পয়সায় বেচাকেনা হয় প্রতি ডলার। গত ২৭ এপ্রিল ডলার প্রতি দাম ২৫ পয়সা বেড়ে ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা হয়। ১০ মে ডলার প্রতি দাম আরও ২৫ পয়সা বেড়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা হয়। ১৬ মে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারের দাম ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর পর ২৩ মে ফের ৪০ পয়সা বাড়িয়ে ডলারের দাম ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করে। এরপরও বাজার স্থিতিশীল হয়নি। পরে সঙ্কট নিরসনে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস, বাংলাদেশের (এবিবি) দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ মে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৯ টাকা বেঁধে দেয়। আমদানিকারকদের কাছে বিক্রির জন্য বিসি সেলিং রেট নির্ধারণ করা হয় ৮৯ টাকা ১৫ পয়সা। যদিও ব্যাংকগুলো আন্তঃব্যাংক লেনদেনে প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ৮৯ টাকা ৮০ পয়সা করার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু তাতেও বাজার স্থিতিশীল না হওয়ায় ডলারের এক রেট উঠিয়ে দিয়ে গত ২ জুন আরও ৯০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। ৬ জুন প্রতি ডলার ৯১ দশমিক ৫০ টাকা, ৭ জুন ৯১ দশমিক ৯৫ টাকা, ৮ জুন ৯২ টাকা এবং ১৩ জুন ৯২ দশমিক ৫০ টাকায় বিক্রি হয়। ১৫ জুন ডলারের দাম ছিল ৯২ দশমিক ৮০ টাকা। ২১ জুন ডলারের দাম বেড়ে ৯২ দশমিক ৯০ টাকা হয়। পরের দিন তা বেড়ে ৯২ দশমিক ৯৫ টাকা বিক্রি হয়েছে। গত ২৮ জুন ডলারের দাম বেড়ে ৯৩ দশমিক ৪৫ টাকা, ২৯ জুন ৯৩ দশমিক ৪৪ টাকা, ৩০ জুন ৯৩ দশমিক ৪৫ টাকা, ১৪ জুলাই ৯৩ দশমিক ৬১ টাকা, ১৭ জুলাই ৯৩ দশমিক ৯৫ টাকা হয়েছে। গত ২১ জুলাই ডলারের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৯৪ দশমিক ৪৫ টাকা। গতকাল আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলার বিক্রি হয়েছে ৯৪ দশমিক ৭০ টাকায়। নিয়ম অনুযায়ী, একটি ব্যাংক তার মূলধনের ১৫ শতাংশের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা কাছে রাখতে পারে। এর অতিরিক্ত হলেই ব্যাংকটিকে বাজারে ডলার বিক্রি করতে হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ডলারের মার্কেট স্বাভাবিক রাখতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোর চাহিদা অনুযায়ী ৭ বিলিয়ন ডলার সাপোর্ট দেয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলোর সাপোর্টের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ব্যাংক পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

দাম নিয়ন্ত্রনে গতকালও ৫ কোটি ডলার ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
আবুল ২৭ জুলাই, ২০২২, ২:৩৯ এএম says : 0
এভাবে টাকার মান কমতে থাকলে আমাদেরও একদিন শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি হবে, কাজেই এখন থেকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে।
Total Reply(0)
আবুল ২৭ জুলাই, ২০২২, ২:৩৭ এএম says : 0
এ দেশ কোন দিকে যাচ্ছে একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন, প্রত্যেক দিনই টাকার মান কমছে
Total Reply(0)
আবুল ২৭ জুলাই, ২০২২, ২:৪১ এএম says : 0
খোলাবাজারে তীব্র সঙ্কট রয়েছে ডলারের। ব্যাংকের মতো খোলাবাজারেও ডলারের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। দেশের আমলারা কি করে, দেশের এ অবস্থা তারা কি দেখে না।
Total Reply(0)
আবুল ২৭ জুলাই, ২০২২, ২:৪৪ এএম says : 0
চলতি বছরের শুরু থেকেই খোলা বাজারে নিয়মিত ডলারের দাম বেড়েছে। গত ঈদুল আজহার আগেও বাজারে ডলারের দাম ১০০ টাকার নিচে ছিল। এভাবে ডলারের দাম বাড়তে থাকলে দেশের পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। কাজেই এখন থেকে এর প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন