শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ডলারের দাম আবারো খোলাবাজারে বাড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

খোলাবাজারে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন মানি চেঞ্জারে অভিযান চালিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি অবৈধভাবে ডলার মজুতকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ডলার কারসাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে ছয় ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানকে অপসারণ করা হয়। ব্যবস্থাপনা পরিচালকদেরও (এমডি) শোকজ করা হয়। এরপরও স্বাভাবিক হচ্ছে না বাজার।
খোলাবাজারে ফের বাড়ছে ডলারের দর। গতকাল সোমবার খোলাবাজারে প্রতি ডলারের জন্য ১১১ টাকা নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এর একদিন আগে গত রোববার এই দর ছিল ১১০ টাকা ৩০ পয়সা। তবে ব্যাংকগুলোতে দুই সপ্তাহ ধরে একই দামে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে। ১০৪ থেকে ১০৬ টাকায় নগদ ডলার বিক্রি করছে ব্যাংকগুলো, রেমিট্যান্স সংগ্রহ করছে ১০৮ থেকে ১১০ টাকায়। আমদানিকারকদের কাছে এলসি (ঋণপত্র) খুলতে নিচ্ছে ১১২ থেকে ১১৪ টাকা পর্যন্ত।
খোলাবাজারে পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা ডলারের দর বাড়তে বাড়তে গত ১০ আগস্ট ১২০ টাকায় পৌঁছায়। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিযানের মুখে নিম্নমুখী হয় দর। একপর্যায়ে কমে তা ১১০ টাকার নিচে নেমে আসে। গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১১০ টাকার নিচে লেনদেন হয়েছে ডলার।
তবে চলতি সপ্তাহের প্রথম দিনেই আবার বেড়ে যায় দাম। গত রোববার খোলাবাজারে ডলারের দাম বেড়ে ১১০ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৩০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে। গতকাল তা আরও বেড়ে ১১১ টাকায় ওঠে। জানতে চাইলে এক ব্যবসায়ী বলেন, মাঝে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেশ বেড়েছিল। এখন আবার কমে গেছে। এখন মানুষ বিক্রি করে কম; কিনতে আসে বেশি। সে কারণেই দাম আবার বাড়ছে। সোমবার আমরা ১১০ টাকা ২০ থেকে ৩০ পয়সা দরে ডলার কিনেছি। আর বিক্রি করেছি ১১১ টাকায়।
অন্যদিকে ৯৫ টাকায় ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটাকে আন্তব্যাংক বা ইন্টারব্যাংক রেট বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এই রেট তিন মাসের বেশি সময় ধরে কার্যত অচল। ব্যাংকগুলো এখনও এই দরের চেয়ে ৯ থেকে ১১ টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে। আমদানি ঋণপত্র খুলতে নিচ্ছে আরও বেশি।
বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার বিপরীতে আমেরিকান মুদ্রা ডলারের দৌড় থামাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে চলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ২৫ আগস্ট পর্যন্ত (১ মাস ২৫ দিন) ২০৪ কোটি (২ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন) ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এরপরও বাজারে ডলারের সঙ্কট কাটছে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Nazrul Nazrul ৩০ আগস্ট, ২০২২, ৬:৪২ এএম says : 0
বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যে দেশ জনগণের স্বাধীনতা অধিকার কেড়ে নিয়েছে
Total Reply(0)
Md Alim ৩০ আগস্ট, ২০২২, ৬:৪২ এএম says : 0
আরব দেশ গুলাতে প্রবাসী বাংলাদেশি রা কি কঠিন পরিস্থিতি আছে এগুলা দেখার কি কেউ নাই,,,প্রবাসী রা চাংগা থাকলে বাংলাদেশ চাংগা থাকবে প্রবাসী মানে বাংলাদেশ এগিয়ে জাওয়ার অন্য তম মাধ্যম,,
Total Reply(0)
Towhid Hasan Tonmoy ৩০ আগস্ট, ২০২২, ৬:৪২ এএম says : 0
ইতালি ও ফ্রান্সে হাজার হাজার প্রবাসী পাসপোর্ট সমস্যায় আছে তাদের পাসপোর্ট সমস্যা সমাধান করে দিন তারা বৈধ পথে টাকা পাঠাবে
Total Reply(0)
Md Enamul Haque ৩০ আগস্ট, ২০২২, ৬:৪৩ এএম says : 0
চাহিদার সাথে যোগান ভারসাম্যহীন যার জন্য ডলারের রেকর্ড পরিমাণ দাম।
Total Reply(0)
Md-Roman Hasan ৩০ আগস্ট, ২০২২, ৬:৪৪ এএম says : 0
বিশ্বের সকল মুদ্রার দাম বেড়েছে। রিয়াল ডলার ইউরো দিনারসহ সকল মুদ্রার দাম বেড়েছে।। বাংলাদেশের টাকার মান দিনদিন কমছে।। যদি বাংলাদের সিন্ডিকেটের জন্য এমন হত তাহলে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারন কি।। আমাদরে রিজার্ভ কমছে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।। যা একমাত্র কারন হচ্ছে ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার।
Total Reply(0)
S Alam ৩০ আগস্ট, ২০২২, ৬:৪৪ এএম says : 0
পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে হয়ত ডলার পাচার হচ্ছে, কেননা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর টাকার মান আমাদের থেকে বেশি,,, মানি এক্সচেঞ্জের বিষয়টা সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির কঠোর ব্যবস্থা না নিলে আরো নেতিবাচক হয়ে দাড়াবে,,,
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন