গুচ্ছের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা শুরুর আগেই সতন্ত্রভাবে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। বিষয়টি বিজ্ঞান বিভাগের আওতায় হলেও পরীক্ষা নেয়া হবে মানবিক বিভাগের প্রশ্নে। যেখানে আলাদাভাবে গুচ্ছভুক্ত একজন শিক্ষার্থীকে ১ হাজার টাকা বেশি গুণতে হবে। গত ২৪ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ.এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের আলাদা ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে বিষয়টি জানা যায়। তবে বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) একাডেমিক কাউন্সিলের (১২৩ তম) মিটিংয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সেই সাথে বিষয়টি নিয়মের পরিপন্থী বলেও জানান শিক্ষকরা।
গুচ্ছের প্রজ্ঞাপনে জানা যায়, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের বিশেষায়িত বিভিন্ন বিভাগে (সংগীত, চারুকলা, নাট্যকলা, ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন, থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ, ফিল্ম এন্ড মিডিয়া, ফোকলোর, স্পোর্টস, ও আর্কিটেকচার প্রভৃতি) শিক্ষার্থী ভর্তির লক্ষ্যে গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় শর্ত সাপেক্ষে পৃথক ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। শুধুমাত্র গুচ্ছের (এ, বি, সি ইউনিটের) ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিশেষায়িত বিভাগসমূহে আবেদন করতে পারবে।
এদিকে গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শর্ত মোতাবেক পৃথক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। এ শর্তের অধীনে রয়েছে ইবির চারুকলা, ফোকলোর স্টাডিজ, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ। তবে শর্ত অমান্য করে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রিড়া বিভাগের আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগে আবেদনের সময়সীমা আগামী ১ আগস্ট থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত এবং ভর্তি পরীক্ষা হবে আগামী ২৮ আগস্ট। এ বিভাগের আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১হাজার টাকা।
এদিকে গুচ্ছতে ১৫৩০ টাকা দিয়ে আবেদন করার পরও আবার শারীরিক শিক্ষা বিভাগের জন্য আলাদা আবেদনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় অতিরিক্ত ফি গুনতে হবে ভর্তিচ্ছুদের। বিভাগটি বিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও মানবিক (বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান) বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। এতে বিজ্ঞান ও বানিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়বে বলে ধারণা করেন শিক্ষকরা। এছাড়াও, বিকেএসপি সনদধারীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটার সুবিধা রাখা হয়েছে। এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ১০০নম্বরের মধ্যে পাশ মার্ক ৪০ ধরা হলেও তাদের ধরা হয় ২০ মার্ক। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হবেন বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন শিক্ষকরা।
হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের প্রফেসর ড. কাজী আকতার হোসেন বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলে এই বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করেছি। আমার কাছে মনে হয় এটা নিয়মের পরিপন্থী।
এবিষয়ে রেজিষ্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ.এম আলী হাসান জানান, বিষয়টি কেন্দ্রীয়ভাবে গুচ্ছ ভর্তি কমিটি থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ভিসি প্রফেসর প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এটা নিয়ে কেন্দ্রীয় ভাবে কথা হয়েছে। শুধু আমরা না, আরো বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সতন্ত্র ভাবে পরীক্ষা নিচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন