সিনেমার প্রচারে হাওয়া টিম এখন খুলনায় অবস্থান করছেন। আজ শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২ টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিমটি প্রবেশ করে। সিনেমাটির প্রমোশনাল পার্টনার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ এমএম মুভি ক্লাবের উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়। তবে হাওয়া মুভির মুখ্য অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও নায়ক শরীফুল রাজ এ টিমের সাথে আসেননি।
সকাল থেকেই খুলনা ক্যাম্পাসে খুবির ছাত্র-ছাত্রী ও বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দর্শকদের পদচারনায় মুখরিত হয় ক্যাম্পাস। বেলা গড়ানোর সাথে-সাথে দর্শকদের উপস্থিতির সংখ্যার আরও বাড়তে থাকে। অধীর অপেক্ষায় থাকে খুলনাবাসী। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিনেমার কলাকুশালীদের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আসার কথা ছিল। কিন্তু পথে তাদের আসতে দেরী হয়।
অবশেষে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে দু’টি গাড়ি নিয়ে হাওয়া সিনেমার কলা-কুশালীরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। তাদের দেখে উপস্থিত দর্শকরা গান গাইতে শুরু করে। তুমি বন্ধু কালা পাখি আমি যেন কি। গান শুনে গাড়ির মধ্যে থাকা চিত্রশিল্পীরা হাত নেড়ে তাদের অভিবাদন জানাতে থাকে।
১২টা ২৫ মিনিটের দিকে চিত্র শিল্পীরা স্টেজে উঠতে শুরু করেন। রাষ্ট্রীয় শোকের মাস আগস্ট হওয়ায় শিল্পীরা ১ মিনিট নিরবতা পালন করেন। এরপর পরিচয় পর্ব শুরু হয়। প্রচার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইরফান মৃধা শিপলু, বাবলু ঘোষ, সুমনা নয়ন, পরিচালক মেজবাউল সুমন, নায়িক নাজিফা তুষি, মাহমুদ আলম, রিজভী।
সিনেমার পরিচালক মেজবাউল সুমন বলেন, সিনেমা যেখানে শেষ হয়, সেখানে আপনার চিন্তায়, মনোজগতে কোন প্রশ্ন তৈরি হয়ে থাকলে সেটাই আমাদের সার্থকতা। যদি কোন প্রশ্ন তৈরি না হয়, যদি মনে করেন এইখানে শেষ হয়ে গেলো তাহলে ছবিটা এখানেই শেষ। কিন্তু আমরা যখন স্ক্রিপ্ট ডেভলপ করছিলাম তখন আমাদের ইচ্ছা ছিল সিনেমা দেখানো বা গল্প বলার প্রক্রিয়া সেটা একটা শুধু গল্প যেন না হয়ে ওঠে। আমরা আপনাদের মনোজগতের মধ্যে ঢুকতে চাই। চিন্তার মধ্যে ঢুকতে চাই। আমার চিন্তা দিয়ে যেন ছবিটা শেষ না হয়। আমার চিন্তা শেষ হওয়ার পর যেন আপনাদের কিছু চিন্তা-ভাবনা থাকে। ছবিটাকে নিজের মতো করে ভেবে নেওয়া। এটা হাওয়া গল্পের ফিলোসফি। হাওয়া নিদির্ষ্ট একটা গল্পের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। সেখানে সম্পর্কের গল্প ও বিভেদের গল্প আছে। এখানে লোক গল্পের গান সংযুক্ত করতে চেয়েছি। সে কারণে আপনাদের ভাল লাগা। এখানে নাচানাচি কিংবা গান এরকম কোন উপাদানগুলো এ সিনেমায় নেই। হাওয়া মুভি গণমানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়াটা আমাকে অবাক করেছে। মানুষের সাড়া আমাদেরকে উৎসাহ যুগিয়েছে।
খুলনায় আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাওয়া গভীর সমুদ্রের গল্প। সেন্টমার্টিনে ছবির শুটিং হয়েছে। আমরা সেটিকে দুবলার চর মনে করে নিয়েছি। তাছাড়া চট্টগ্রামের ভাষা ব্যাবহার করলে সাবটাইটেল ব্যবহার করতে হতো। খুলনার মানুষের আঞ্চলিক ভাষা সুন্দর। ভাষার মাধুর্য্য আছে। সিনেমায় খুলনার ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। এ ভাষা গণমানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে। এটাই মূলত খুলনায় আসার উদ্দেশ্যে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন