আগের দুই ম্যাচে একটি করে জয় ছিল দুই দলের। গতপরশু তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের আনঅফিসিয়াল ওয়ানডে ম্যাচটি ছিল অঘোষিত ফাইনাল। সেন্ট লুসিয়ার পেসবান্ধব উইকেট এমন উপলক্ষ্য পেয়ে বল হাতে আনন্দোৎসবে মেতে উঠলেন রেজাউর রহমান রাজা ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। তবে বৃষ্টি এসে সব ভেস্তে দিল!
ড্যারেন সামি স্টেডিয়ামে টস জিতে স্বাগতিক অধিনায়ক জশুয়া দ্য সিলভা প্রথম ব্যাটিং করাটাকেই শ্রেয়তর ভেবেছিলেন। যদিও ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৩৮ রান করে খুব বড় একটা চ্যালেঞ্জ ক্যারিবিয়ানরা ছুড়তে পাড়েনি সফরকারীদের দিকে। রান তাড়া করতে গিয়ে মিঠুনের দল ১৫.৪ ওভার ব্যাটিং করার পরই বৃষ্টির বাগড়া। তাতেই ম্যাচ পন্ড একেবারে। সিরিজ ড্র নিয়েই তুষ্ট থাকতে হয় দুই দলকে। খেলা বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশে ‘এ’ দলের রান ছিল ৩ উইকেটের বিনিময়ে ৬১। সৌম্য অপারাজিত ছিলেন ৪২ বলে ৩০ করে। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের এবারের ক্যারিবিয়ান সফরের প্রাপ্তি মূলত রাজা, মৃত্যঞ্জয় ও মুকিদুলের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আগের দুই ম্যাচের মতই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দারুণ সূচনা এনে দেন জশুয়া ও ত্যাগনারায়ণ। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৭ রান আসার পর জশুয়াকে ফেরান রাজা। ঠিক ১৩ রান পরে, ৪৩ করা ত্যাগনারায়ণ কাটা পড়েন রাকিবুলের বলে ক্যাচ দিয়ে। টেডি বিশপ ও জাস্টিন গ্রেইভ তৃতীয় উইকেটে ৭৪ রানের জুটি গড়লে বড় পুঁজির সুবাস পেতে থাকে স্বাগতিকরা। তবে এরপর আবারও রাজার হানা, ফেরান এই দুইজনেই। বিশপ দলের হয়ে করেন সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন। আর ৩৬ আসে গ্রেইভসের ব্যাট থেকে। টপ অর্ডারের ৬ ব্যাটসম্যানের মধ্যে ৪ জনকে সাঝঘরের পথ দেখিয়ে স্বাগতিকদের ব্যাটিং মেরুদন্ডই ভেঙ্গে দেন ২৩ বছর বয়সী রাজা, ১০ ওভারে খরচ করেন ৫০ রান। মুকিদুল, মৃত্যুঞ্জয় ও রাজার তোপে শেষ ৪২ রানে শেষ ৬ উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা। ৪৩ রানে ২ উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয়।
রান তাড়া করতে নেমে খেই হারায় বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে শার্মন লুইসের বলে বাজে শর্টে ফেরেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শেখ নাঈম, একই ওভারে সাইফ আরও দৃষ্টিকুটু শট খেলে সাজঘরের পথ ধরেন। আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ সৌম্য এরপর অধিনায়ক মিঠুনকে নিয়ে ৫১ রানের জুটি গড়েন। ২০ রান করে মিঠুন ফিরলে জমে উঠে খেলা। তবে বৃষ্টি এসে লÐভÐ করে দেয় সবকিছু। এরআগে স্বাগতিকদের ইনিংসের ৩৯ ওভারের সময় বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ ছিল ৩০ মিনিট।
আসছে এশিয়া কাপে সৌম্য ও মৃত্যুঞ্জয় আছেন স্ট্যান্ডবাই হিসেবে। তবে এই সিরিজে খেলা সাব্বির রহমান আছেন মূল স্কোয়াডেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন