সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও বেড়েছে মূল্যসূচক। প্রকৌশল, বস্ত্র এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমার দিনে বিনিয়োগকারীদের আশার আলো দেখিয়েছে বিমা খাত। ফলে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রির চাপের দিনেও পুঁজিবাজারে সূচক, লেনদেন বেড়েছে। তবে গতকাল মঙ্গলবার লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। অন্যদিকে ডিএসইতে গত আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৮৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৪৭৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে লেনদেন বেড়ে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ হয়েছে। গত ২০ জানুয়ারি ডিএসইতে ১ হাজার ৬০১ কোটি ২০ লাখ টাকার লেনদেন হয়। এরপর গত আট মাসে ডিএসইতে দেড় হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়নি।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, টেলিযোগাযোগ, ওষুধ, ব্যাংক ও আর্থিকখাতের বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নেয়। ফলে দাম কমার তালিকা বড় হওয়ার পরও সূচক ঊর্ধ্বমুখী থেকে দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে এক হাজার ১২৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৯টির। আর ৮৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম কমার তালিকা বড় হলেও টেলিযোগাযোগ খাতের একটি প্রতিষ্ঠানেরও দরপতন হয়নি। এ খাতের তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটি শেয়ারের দাম বেড়েছে এবং একটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া ওষুধখাতের ১৯টির শেয়ারের দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে নয়টির। আর ব্যাংক খাতের নয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে ছয়টির। আর্থিকখাতের ১১ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে নয়টির।
অপরদিকে সব থেকে বেশি দরপতন হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতের। এ খাতের ছয় প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ১৪টির। এছাড়া বিমাখাতের ১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে ২৫টির। প্রকৌশল খাতের ১৯টির শেয়ারের দাম বেড়েছে এবং কমেছে ২১টির।
খাদ্য খাতের আটটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে আটটির।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩১৫ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৮৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে টানা ছয় কার্যদিবস সূচক বাড়লো।
ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১০৮ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার ৯৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৫৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৫৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৩০৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৯টির দাম বেড়েছে, বিপরীতে কমেছে ১২৮টির এবং ৭৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন