ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ভারত থেকে প্রধানমন্ত্রী ঘুরে এলেন। কিন্তু মূল সমস্যাগুলোর কোনো আশাবাদী সমাধান দেখছি না। তিস্তার সমস্যা ঝুলে রইলো। এখন আনন্দ হচ্ছে যে কুশিয়ারা থেকে পানি প্রত্যাহার করতে পারব। কিন্তু মেঘনা বেসিনে গিয়ে এটা কতখানি সংকট সৃষ্টি করবে কি করবে না তা নিয়ে কোনো সমীক্ষায় কিন্তু আমরা যাইনি।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘চীন বিপ্লবের মহানায়ক মাও জে দং-এর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি সভাটির আয়োজন করে।
মেনন বলেন, আগামী ২০২৬ সালে গঙ্গা চুক্তি শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু সংযোগস্থল দিয়ে পানি প্রবাহ নিয়ে এখনো কোনো যৌথ সমীক্ষার কূল করতে পারিনি। এসব জায়গা থেকে যদি বিচার করি, তাহলে আমাদের ওই তত্ত্বে ফিরে যেতে হবে, যেখানে আমরা জাতীয় কর্তব্য ও গণতান্ত্রিক কর্তব্য সম্পন্ন করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে আমরা কি বুঝি? এটা শুধু পতাকা বদল, মানচিত্র বদল নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হচ্ছে অসাম্প্রদায়িকতা গণতান্ত্রিক পরিবর্তন। আর এগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কৃষক, কৃষি ও শ্রমিকের ক্ষেত্রে উদ্যোগী হয়ে এগোতে হবে।
সার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বলা হচ্ছে সারের সংগ্রহ আছে। কিন্তু বাস্তবে দেখছি সারের সংকট হচ্ছে। সবচেয়ে বড় সংকটে আছে কৃষক। আর কৃষককে বাদ দিয়ে কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্ভব হবে- এটা ভুল কথা।
মন্ত্রীদের সমালোচনা করে মেনন বলেন, তাদের কাছে জিজ্ঞেস করলে বলবে ১৯ লাখ টন খাদ্য আছে। যদি কৃষিমন্ত্রীর কথা বলেন, তিনি বলবেন গুদামে পর্যাপ্ত সার মজুদ আছে। কিন্তু মাঠে গেলে দেখবেন কৃষক সার পাচ্ছে না।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড শরীফ শামশির, পার্টির মতাদর্শ ও প্রশিক্ষণ বিভাগে প্রধান কমরেড ড. সুশান্ত দাস, সদস্য কামরুল আহসান, সমাজ গবেষক শামসুল হুদা প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন