রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সবকিছুর দামই এখন ঊর্ধ্বমুখী। এতে করে বেড়েছে আমদানি ব্যয়। যার চাপ গিয়ে পড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর। দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে এখন ৩৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। এর আগে, ২০২০ সালের ২৯ জুলাই রিজার্ভ ৩৭ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলারে হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, এখন দেশে যে পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে, তা দিয়ে সাড়ে ৪ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে (প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে)।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) রিজার্ভ ছিল ৩৮ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। বৃহস্পতিবার আমদানির অর্থ বাবদ ১৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার (এক দশমিক ৭৩৫ বিলিয়ন) পরিশোধের পর তা তিন হাজার ৭০৬ কোটি (৩৭ দশমিক ০৬ বিলিয়ন) ডলারে নেমে এসেছে।
সূত্র জানায়, গত বছর আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৮ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে যে পরিমাণ রিজার্ভ মজুদ আছে তা দিয়ে সাড়ে ৪ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে (প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে)।
বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তঃব্যাংকে শুধু সরকারি জ্বালানি ও জরুরি খাদ্য আমদানির দায় মেটানোর ক্ষেত্রেই প্রতি ডলার ৯৫ টাকা দামে বিক্রি করছে। যেটা আগে ছিল ৮৬ টাকা। এখান থেকে এক টাকা বেশি দরে গ্রাহকের কাছে ডলার বিক্রি করতে পারবে ব্যাংকগুলো। কিন্তু ব্যাংকগুলোতে আন্তঃব্যাংক দামে কোনো ডলার লেনদেন হচ্ছে না।
ব্যাংকগুলো বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আহরণ করতে প্রতি ডলারের জন্য ১০৪ থেকে ১০৭ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করছে। কিন্তু রফতানিকারকদের কাছ থেকে অপেক্ষাকৃত কম দামে অর্থাৎ প্রতি ডলার ১০০ টাকার নিচে সংগ্রহ করছে। যেগুলো রফতানি বিল নগদায়নে ১০১ থেকে ১০৩ টাকা দিতে হচ্ছে। এভাবে বিভিন্ন দরে ডলার কিনে ব্যাংকগুলো দাম সমন্বয় করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন