হাজী সেলিম নামের চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীর দায়ের করা মামলায় গোলামুর রহমান নামের কাস্টম এক্সসাইজ ও ভ্যাট অফিস ফেনীর সুপারিনটেনডেন্টকে ৫ বছরের কারাদ- দিয়েছে নোয়াখালীর স্পেশাল জজ আদালত। একই সাথে দ-প্রাপ্তকে ১লাখ টাকা অর্থদ- অনাদায়ে আরও ৪ মাসের কারাদ- প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে শুনানি শেষে জেলা স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান এ রায় প্রদান করেন। আদালতে শুনানির সময় আসামি উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কিছু গার্মেন্টস আইটেম নিলামে ক্রয় করে ঢাকা পাঠাচ্ছিলেন হাজী সেলিম। এসময় ফেনীতে হাজী সেলিমের মালবাহী কাভার্ডভ্যানটি আটক করে মালগুলো অবৈধ বলে ঘোষণা করেন কাস্টম সুপারিনটেনডেন্ট গোলামুর রহমান ও ইন্সপেক্টর শাহজাহান। জব্দকৃত মালগুলো ছেড়ে দেওয়ার জন্য ২লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন গোলামুর রহমান। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম-২ দুদকের পরামর্শমতে গোলামুর রহমানকে ২লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার সময় দুদকের সহকারি পরিচালক শেখ আবদুস সালামের নেতৃত্বে গোলামুর রহমানকে আটক করা হয়। ঘটনাটি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারি কর্মকর্তা।
দুদক নোয়াখালীর পিপি এডভোকেট আবুল কাশেম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলায় অভিযুক্ত একমাত্র আসামি গোলামুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক ১৮৬০ সালের দ-বিধি আইনের ১৬১ ধারা আসামিকে দুই বছর ও ১৯৪৭ইং সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে তাকে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদ- প্রদান করেন। উভয় মামলায় তাকে ১লাখ টাকা অর্থদ- ও অনাদায়ে আরও ৪মাসের কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। দ-প্রাপ্ত আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন