সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া চুড়ামনি গ্রামে হাইকোর্টের আদেশ না মেনে মেসার্স খাজা ব্রিকস্ ম্যানুফ্যাকচারার্স নামে জিগজ্যাগ পদ্ধতিতে গড়ে উঠা একটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ভূক্তভোগী ক্ষতিপূরণ চেয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছেন।
জানা যায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস ও চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের
সহকারি পরিচালক নুর হাসান সজীবের যৌথ অভিযানে হাইকোর্টের আদেশ না মেনে ইটভাটাটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী এওচিয়ার চেয়ারম্যান নজরুল
ইসলাম মানিক। ভূক্তভোগী নজরুল ইসলাম মানিক বলেন, সরেজমিনে তদন্ত করে নিয়ম মেনে আমার ভাটার জন্য সরকারি দপ্তর থেকে সব কাগজপত্র দেওয়া হয়েছে। আবেদনের ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক ২০২১ সালের ২৭ জুন পরবর্তী এক বছরের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয় থেকে আমার মালিকানাধীন মেসার্স খাজা ব্রিকস্রে জন্য ছাড়পত্র প্রদান করেন। কোন এক অদৃশ্য ইশারায় ছয় মাসের মাথায় ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর আমাকে কোন রকম নোটিশ না দিয়ে গোপনীয়ভাবে পরিবেশ অধিদপ্তর সম্পূর্ণ বে-আইনিভাবে আমার ইটভাটার নামে ইস্যুকৃত ছাড়পত্র বাতিল করলে পরবর্তীতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ে পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে আপিল দায়ের করি। মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘদিন আপিল নিষ্পত্তি না হওয়ায় আমি মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন নং-৮৪৫৩/২২ দায়ের করি ।এরপ্রেক্ষিতে ২২ সালের জুলাই মাসের ১৯ তারিখে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী ও মোঃ জাকির হোসাইনের দ্বৈত বেঞ্চ ৩০ দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে আদেশ দেন। পরবর্তীতে ৩ মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। উচ্চ আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও তা না মেনে গত ৫ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস ও চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক নুর হাসান সজীবের যৌথ অভিযান চালিয়ে আমার ইটভাটাটি সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে গুঁড়িয়ে দেয়। এতে আমার ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক মফিদুল আলম বলেন, উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলে সেখানে অভিযান করা যায় না। অভিযানটা করেছেন
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক। ইটভাটা আইনের সভাপতি হচ্ছেন জেলা প্রশাসক। আমরা কমিটির মেম্বর হিসেবে অভিযানে অংশ নিই। ইটভাটা ভাঙার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেন
জেলা প্রশাসক।এবিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট এসএম দিদার উদ্দিন বলেন, অভিযান পরিচালনাকালীন সময়ে বাদী হাইকোর্টের রিট উপস্থাপন করেন এবং তারা তা না
মেনে অভিযান পরিচালনা করে থাকেন, তাহলে কর্মকর্তগণ আইন অমান্য করে আদালত অবমাননা করেছেন। এ ক্ষেত্রে উচ্চ আদালত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
করতে পারবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন