শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

নান্দাইলে হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে হুকুমদাতার নাম না থাকার বাদীর অভিযোগ

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৬:৪৬ পিএম

ময়মনসিংহের নান্দাইলে হত্যা মামলা থেকে হুকুমের আসামিকে বাদ দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ময়মনসিংহের নান্দাইল মডেল থানায় গত ১৫ মার্চ ২০২২ দায়ের করা ১৪ নম্বর মামলার ক্ষেত্রে এ ঘটনা ঘটেছে। এই মামলার বাদী হচ্ছেন, নান্দাইল উপজেলার দত্তপুর গ্রামের মো. শাহাব উদ্দিন। বাদী জানান, তিনি তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে জেনেছেন মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) চুড়ান্ত করার আগে পুলিশ তথা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) বাদীকে অবগত করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু তাঁর মামলার অভিযোগপত্র (নম্বর ১৮৫) দেওয়ার সময় তদন্ত কর্মকর্তা তাঁর সাথে কোনো কথা বলেননি। এ অভিযোগ করার সময় বাদীর সাথে তাঁর স্ত্রী মোছা. শাফিয়া খাতুন উপস্থিত ছিলেন। শাফিয়া বলেন, যার হুকুমে আমার ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে পুলিশ তাঁদের রেহাই দিতে পারে না। তাহলে আমি ন্যায় বিচার কোথায় পাব। নথিপত্র ও মামলার এজাহার ঘেঁটে জানা যায়, শাহাব উদ্দিনের ছেলের নাম হচ্ছে সজীব মিয়া (২২)। সজীব গত ১৩ মার্চ রাতে তাঁর বাড়ির অনতিদূরে মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের সৈয়দগাঁও গ্রামে অবস্থিত শাহ শুরুনের মাজারে গিয়েছিলেন বাউল গান শোনার জন্য। সেই রাতে গানের আসরে সজীবের সাথে তাঁর সমবয়সী কিছু তরুণের ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহতির ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় মাজারে উপস্থিত লোকজন ঘটনাটি মিটিয়ে দিয়েছিলেন। সেদিন মধ্যরাতের পর সজীব মিয়া নিজ বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পথে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের মাজার বাসস্ট্যান্ডের কাছে হামলার শিকার হয়েছিলেন। মামলার এজাহারে বাদী শাহাব উদ্দিন উল্লেখ করেন, ঘটনাস্থলে মঞ্জু মিয়া নামে এক ব্যক্তি উপস্থিত থেকে তাঁর ছেলের ওপর ছোঁরা দিয়ে হামলা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই হামলায় মঞ্জু মিয়ার লোকজনও অংশ নিয়েছিলেন। তিনি হুকুমদাতাসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে নান্দাইল মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বাদীর অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রুবেল মিয়া বলেন, তিনি বাদীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু বাদী তাঁর সাথে যোগাযোগ করেননি। হুকুমের আসামিকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া প্রসঙ্গ এসআই রুবেল মিয়া বলেন, মামলা তদন্ত করা সময় মঞ্জু মিয়ার সংশ্লিষ্ঠতা পাওয়া যায়নি। তাই তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আরেক প্রশ্নের উত্তরে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, বাদী যদি সন্তুষ্ট না হন তাহলে তিনি আদালতে না-রাজি আবেদন দিতে পারেন। অপরদিকে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নান্দাইল উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ জানান, হত্যা মামলার এজাহার ভূক্ত হুকুমের আসামীকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করায় মামলাটি বিচার কাজে বাদী উপযুক্ত বিচার পাবে না। নেতৃবৃন্দ হুকুমদাতাকে চার্জশীটে অন্তভূক্ত করার দাবী জানিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন