ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে সড়কের সংস্কার কাজের কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকেই মহাসড়কের মেঘনা ও গোমতী সেতুর টোলপ্লাজা থেকে গৌরিপুর পর্যন্ত যানজট উঠানামা করছে। সকালে ঢাকামুখি
লেনে প্রায় ২৫ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা কমলেও আবার বেড়ে যায়।
মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের ২৫ কিলোমিটার সংস্কার কাজ চলা এলাকায় যানজটের পরিমাণ ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটারে উঠানামা করছে। এতে যানবাহনের যাত্রী, চালক ও জরুরী চিকিৎসার জন্য ঢাকা রওনা দেওয়া রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার গৌরীপুর বাজারের কাছাকাছি অংশে সংস্কার কাজ চলছে। সংস্কার কাজ ২৪ ঘণ্টা চলমান থাকার কারণে মহাসড়কের ঢাকামুখী একটি লেনে গাড়ি চলতে পারে। এতে গাড়ির চাপ সৃষ্টি হলে মাধাইয়া এলাকা থেকে গৌরীপুর হয়ে দাউদকান্দি টোলপ্লাজা পর্যন্ত যানজট লেগে যায়।
লাকসামের মুদাফরগঞ্জ থেকে পদ্মা এক্সপ্রেসে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে ভোর ছয়টার দিকে রওনা দিয়েছেন মোহাম্মদ সোহেল। বেলা ১২ টায় তিনি জানান ছয় ঘণ্টায় গৌরিপুর বাজারে এসেছেন।
দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম দুপুরে বলেন, যানজট আছে কিছুটা। আমাদের পুরো টিম মাঠে কাজ করছে। গত দুইদিন আমি রাস্তায় আছি। আমরা চেষ্টা করছি যানজট কমিয়ে আনার।
কুমিল্লার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, আমরা সংস্কার কাজ দ্রুত গতিতেই করছি। পূজার কারণে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেশি। যানবাহনও বেশি। তাই যানজটে ভোগান্তি হচ্ছে। আমরা যানজট প্রবন এলাকায় মাইকিং করছি। অলটারনেটিভ হিসেবে যেন কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়ে হয়ে ঢাকা সড়ক ব্যবহার করার অনুরোধ করছি। তাছাড়া আমরা সবাইকে বলবো ঢাকা যাওয়ার জন্য যেন সময় নিয়ে বের হয়। আমরা জনগণের জন্যই কাজ করি। আমরা সবাইকে বলবো কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত একটু ধৈর্য ধরতে।
সওজ বিভাগের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, একটি অংশের কাজ শেষ করে ২৮ দিন কোন গাড়ি ওই অংশে আমরা চলাচল করতে দেই না। যাতে কাজটি মজবুত হয়। এই কারণে সময় বেশি লাগছে। আরও ৫ থেকে ৬ মাস সময় লাগতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন