বাক্কার মাতবরি
মুনির শফিক
ঘোর আঁধার
চারদিকে সুন্দর নিরবতা।
আলপথ মাড়িয়ে, টস জ্বেলে জ্বেলে
পলক খান আর তার ছেলে-
বাক্কার মাতবরি সাহেবের উঠোনে আইসা ওঠে।
পলক খান দরওয়াজায় ঠোকা দিলে-
মাতবরি সাহেবের বউ দরওয়াজা খুলা দিলে
গোপনে কী যেন?
চালাচালি করে- চুপিচুপি বের হয়ে যায়। ক্ষীণকায় চাঁদের উদয়।
মৃদু জ্যোৎস্নার আলো। খকখক কাশের শব্দ
তবুও লোক সতর্কতায়, আলপথ মাড়িয়ে সবুর মিয়া এলো সেও বাক্কার মাতবরির সাথে গোপনে কী যেন?
চালাচালি করে- চুপিচুপি চলে যায়। মাতবরির বউ নাক ছিটকাইল, রাতবিরেতে কী যে ঢং শুরু হয়!
পরদিন, সন্ধ্যায়, আলতাফ, সাত্তারসহ-
মাতবরির আঙিনায় শালিস বসে-
শালিসি, রায় মাতবরির কথা মতই হলো
কোনপক্ষর, দোষগুণ নাই ক্ষয়ক্ষতি, রাগ, বিভেদ,সব ভুলে হাতে হাত, বুকে বুক মিলাইয়া দেয়।
পলক খান,সবুর মিয়ার হানাহানি,
গোপন চালাচালির কী নিদারুণ সমাপ্তি ঘটে!
দুর্ভাবনার জাল
সমর আরিফ
বড়ো সংক্ষুব্ধ সময়; পৃথিবী আক্রান্ত
ভীষণ পচন রোগে। কাকের আওয়াজ
শুনি ভিটের পাশেই। দূরে শোনা যায়:
আর কিছু রক্তচক্ষু শিয়াল-শকুন
সন্ধ্যা নামার আহ্বানে তীক্ষ্ণ সুরে ডাকে।
বড়ো ভয় ভয় লাগে। বিপদ আসন্ন!
এসব তো পৃথিবীর চিরন্তন চিত্র।
মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলি অশুভ খেয়াল।
মনে হয়, বড়ো বেশি দুর্ভাবনা গ্রাস
করে আমায়। তাহলে সংশয়বাদী আমি?
দুর্ভাবনার কল্পিত জাল ছেয়ে ফেলে,
এক নিমেষে যখন শব্দ গাঢ় হয়!
একি, আমার ভিটের চৌহদ্দি সুনসান
করে ঘিরে রেখেছে কে! একদল মাংসাশী!
সোহাগীর প্রেম
কাজী রাসেল
রেল পথের শেষ রেল স্টেশনে
ভাঙা আয়নায় টোল পড়া গালের হাসি
প্রেমকৃষ্ণের চোখে পড়ে
সজনার ডাটার মতো দুলছে
সোহাগীর হাতের আঙুল
অসম্ভব সুন্দর দৃশ্য মুখরিত হল
হৃদপিণ্ডের আনন্দ বাজার
মাঝেমধ্যে ভিজে যায় তোমার পায়ের নুপুর
স্মৃতির মাঝপথে স্বপ্ন অবহেলা করে
ইচ্ছে শক্তি নষ্ট করে মরে যায় সোহাগীর প্রেম
সামান্য ঘৃণায় ভেঙে পড়ে কবিতার প্রেমিক
বকেয়া চিঠি খুঁজে বেড়ায় গ্লোবাল দপ্তরে
সুবার্তার সুভাস আসে নতুন প্রেমের গল্প
রঙিন চোখ নষ্ট হলে খুঁজে পাবে না
বাড়ি ফেরার স্টেশন পথ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন