ফুলের অসুখ
নিঃশব্দ আহামদ
মুছে যাচ্ছে রং,মায়াঘোর কেটে ক্রমশঃ ডুবে যাচ্ছি আঁধারে প্রতিপক্ষের ভুমিকায় অবতীর্ণ হবো বলে আমরা কখনো ঠান্ডা মেজাজে হজম করিনি অপেক্ষার প্রতিটি মুহুর্ত আর রবিবার একটি বিকেল বাঁশঝাড়ের সুশীতল বাতাস মেখে আমি তাকাই ব্রীজের তলদেশে,খড়কুটো ভেসে ভেসে জড়ায় শিকড়ে-আর অবলম্বন গুলো এভাবে ই জড়িয়ে রাখি অধরে আপনার এই নীরবতার নাম শাস্তি,বরং মৃত্যু হতে পারতো আমার এতো এতো উচ্ছাস,আমার আনন্দসব নিন্দার মতো হয়ে গেলে,নিজের বলে আমার আর থাকেনা কিছুই হায়!আমার ভালোবাসা,গড়িয়ে পড়ো তুমি ঘুমহারা চোখে নিঃশব্দের সংকল্প ছিলো,যেমন কেবলামুখি হয়ে আমাদের শোকরিয়া আর প্রতিশ্রুতি গুলো আমরা জানিয়ে দিই,আর দু হাত বুকে চেপে ছেড়ে গভীর নিঃশ্বাস,অপার আনন্দে কেঁদেছি বহুবার হায়! স্নিগ্ধ হাওয়ার সাথে ঝড়ের গন্ধ লাগে,আর ভাঙন নেশায় মাতছে দেখুন এই সময় চুপসে যাচ্ছে ফুলের বুক,হায় আমার ফুলের অসুখ হাসির দ্যুতি থেকে বিমিশ্র রং হয়ে রঙিন এক বিকেল ছিলো,আর ফুলের সাথে ছিলো জড়াজড়ি গল্প অবাক
আর আপনাকে সে ফুলের কসম,আপনি ই সে ফুল আর নিঃশব্দের রং হীন এক জীবনের অফুরান সৌন্দর্য্য
দেখা হয়নি বহুদিন
নন্দিনী রুবী
দেখা হয় না অনেকদিন,
যেন বহু যুগের ওপারে
নষ্ট ঘড়ির কাঁটায় ঝুলে আছে সময়,
সংকুচিত দৃষ্টি আকাঙ্ক্ষায় প্রসারিত হয়;
শুধু দেখবে বলে...
ভবঘুরে অতুল-তৃষ্ণা ওঠে --নামে
চোখের অবতলে।
অঢেল শূন্যের ভিতর নিখোঁজ
তোমার উদভ্রান্ত ছায়া!
না-বলা কথা জমে, নিরেট নীরবতা
চিড়ধরা পাঁজরে,--হাহাকার জানায়!
দীর্ঘ অদর্শন আর কথাহীন মুহূর্ত
হৃদয়ের গভীর থেকে নেমে আসে শিকড়ে।
শুধু চলে যাওয়া আছে,
শুধু আড়াল...
শব্দ ভেঙে ভেঙে অজস্র কথা নিঃশব্দ হয় !
ক্ষমাহীন অন্ধত্ব আর মূক কথকতায় শুধু
জেগে থাকে ভালোবাসা...।
পানাহ চাই
মুকুল ম্রিয়মাণ
উপচানো, দুধ ও নদী-
মনহরনকারী দৃশ্য থেকে পানাহ চাই।
এ ফেনার স্তূপ থেকে
পানাহ চাই-
মৃন্ময়ী রাতের রাখাল।
রমণীর বুক জুড়ে শ্যামল ড্রয়িং
মাটির গঠন,ফসলের লাখেরাজ।
এই বহুতল বিবিধ,ডিম ও কুসুমের মার্গ- পানাহ চাই। কলেবর,কোলাহল,
সাদা পানাহার। হলুদরানওয়েতে,
হাওয়াই পাখি- যাপিত আনন্দ বাস্তবতা,সুখবাথান- লিলিয়ান আহ্লাদ। পানাহ চাই ধূসর বিষন্ন গোলাপ। পানাহ চাই ঋজু জিভ,
দ্বিধার কেওক্রাডং।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন