অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় বৃহস্পতিবার দেশের উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ২১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮৯২ পয়েন্টে। এর আগে ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি সূচক ছিলো ৪ হাজার ৯১৭ পয়েন্ট। এই হিসাবে দুই বছরের মধ্যে এটাই সর্ব্বোচ সূচক। এছাড়া বøক মার্কেটে ৫ কোম্পানির মোট ৮৫ লাখ ২৬ হাজার ৫০৬টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ২১৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর ফলে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৪৯ কোটি টাকার।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি আস্তে আস্তে ভালোর দিকে যাচ্ছে। এজন্য বিদেশীদের নজর এখন বাংলাদেশের দিকে। এছাড়া পুঁজিবাজার ও দেশের ইকোনোমির ওপর তাদের প্রবল আত্মবিশ্বাস রয়েছে। এই সব কারণেই পুঁজিবাজার চাঙ্গা হতে শুরু করেছে।
বøক সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন করেছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের। গতকাল কোম্পানিটি ৬০ লাখ ৭৬ হাজার ৫৯৬টি শেয়ার লেনদেন করেছে। যার আর্থিক মূল্য ২০৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আরএসআরএম স্টীল ১০ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা। সিটি ব্যাংক ১০ লাখ শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। বøকে লেনদেন করা অন্য কোম্পানির মধ্যে ফারইস্ট নিটিং ৩ লাখ ও এমজেএলবিডি ১ লাখ শেয়ার লেনদেন করেছে। এর আগে গত ২৩ নভেম্বর বøক মার্কেটে ভর করে লেনদেন ১৪৭৮ কোটি টাকা ছাড়িয়েছিল।
ডিএসই’র তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে মোট ৩৩ কোটি ৪২ লাখ ৩ হাজার ৪টি সিকিউরিটিজের হাত বদল হয়েছে। টাকার অংকে এর পরিমাণ ১ হাজার ১৪৯ কোটি ৮৩ লাখ ২৭ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৮৬৪ কোটি ২৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৭৯৫ কোটি টাকা।
তিন সূচকে পথচলা ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২১ দশমিক ৮১ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৮৯২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ডিএস-৩০ সূচক ২ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৭৯৫ পয়েন্টে এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ৩ দশমিক ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৫টি সিকিউরিটিজের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫১টির, কমেছে ১২৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টি কোম্পানির শেয়ার।
ডিএসইতে লেনদেনের ভিত্তিতে প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো আফতাব অটোমোবাইলস, শাশা ডেনিমস, ইফাদ অটোস, অলিম্পিক এক্সেসরীস, আরএসআরএম স্টিল, জিবিবি পাওয়ার, কাশেম ড্রাইসেল, সিটি ব্যাংক, আর্গন ডেনিমস ও ফরচুন সুজ। দর বৃদ্ধির শীর্ষে প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো- এসআলম কোল্ড রোল্ড, সিএনএ টেক্স, মিরাকেল ইন্ডাঃ, এইচ আর টেক্স, ইভেন্স টেক্সটাইল, জিবিবি পাওয়ার, আফতাব অটোমোবাইলস, সিএমসি কামাল, ফু-ওয়াং সিরামিকস ও ফ্যামিলী টেক্স। অন্যদিকে দাম কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো শ্যামপুর সুগার, আল-হাজ্ব টেক্স, মেঘনা পিইটি, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, ন্যাশনাল হাউজিং, ডেফোডিল কম্পিউটার, ন্যাশনাল টিউবস, গোল্ডেন হারভেষ্ট, মুন্নু সিরামিকস ও কাশেম ড্রাইসেল।
এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক ও লেনদেন ছিল ইতিবাচক অবস্থানে। এসময় সিএসইর সার্বিক লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৯ কোটি টাকা বেড়ে ৫৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা অতিক্রম করেছে। দিনশেষে সিএসইর সাধারণ মূল্য সূচক আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৪১ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বেড়ে ৯১৫১ দশমিক ৬৬ পয়েন্টে স্থিতি পায়। বৃহস্পতিবার সিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও ফান্ডগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৩টির, দর কমেছে ৭৮টির ও দর অপরিবর্তিত ছিল ৩৪টি প্রতিষ্ঠানের।
দিনশেষে সিএসইতে টার্নওভার তালিকায় শীর্ষে উঠে আসে প্রকৌশল খাতের কোম্পানি অলিম্পিক এক্সসরিজ লিমিটেড। এসময় কোম্পানিটির ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এছাড়াও টার্নওভার তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলোÑ ফরচুন সুজ, সিএনএ টেক্সটাইল, পেনিনসুলা চিটাগং, স্কয়ার ফার্মা, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, জেনারেশন নেক্সট, ইয়াকিন পলিমার, আফতাব অটো ও বেক্সিমকো ফার্মা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন