বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের মেনীপাড়া এলাকায় রাতের আঁধারে এক কৃষকের জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় সোমবার (০৩ অক্টোবর) রাতে ভুক্তভোগী সিদ্দিকুর রহমান তালতলী থানায় অভিযোগ করেন মো. রাজু গং এর বিরুদ্ধে। তবে এতে কোনো সুরাহা হয়নি। জবর দখলকারীদের সন্ত্রাসী হামলার আতঙ্কে দিন কাটছে ভুক্তভোগী পরিবারের। এনিয়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে অসহায় স্থানীয় বাসিন্দারাও।
ভুক্তভোগী মনোজা সুলতানা লায়লা ও সিদ্দিকুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ৪১ নং ছোট নীশানবাড়ীয়া মৌজার খতিয়ান নং ১৭১১ ডাক নং ৩৩১৮, ৩৩১৯, ৩৩২০, ৩৩২১, ৩৩২২, ৩৩২৩,৩৩২৪, ৩৩২৫, ৩৩৪১, ৩৩৪২, ৩৩৪৬,৩৩৪৭, ৩৩৪৮, ৩৩৪৯, ৩৩৫০ উক্ত দাগে জমি ১৩ একর ২৬ শতাংশ থেকে আমরা ২ একর ৬৬ শতাংশ ক্রয় করি। সেখান থেকে ১ একর ৩৩ শতাংশ বিক্রি করেছি ও ১ একর ৩৩ শতাংশ জন্য বায়না নিয়েছি। এই কথা শোনার পরে স্থানীয় কামাল হোসেনের ছেলে রাজু গং আমার জমি দখল দেওয়ার জন্য বিভিন্ন রকমের চেষ্টা করে ও জাল দলিল তৈরি করে জমিটি দখল নিতে চায়। এই জমির বয়স প্রায় ৫২ বছর ২০১৬ সালে স্থানীয় শাহজাহান খলিফা গং এর কাছ থেকে আমরা জমিটি ক্রয় করেছি। আমরা বর্তমানে ময়মনসিংহ স্থানীয় বাসিন্দা। রাজু গং এরা ২০২০ - ২১ সালে অবৈধভাবে ওই জমিতে ইটের ভাটা নির্মাণ করে এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালানোর পরে বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত তিন মাস ধরে দখলদার রাজু, কামাল, মোস্তফা মেম্বার, চুন্নু মৃধা ও শহিদুল ডাক্তার সহ আরো ২০ থেকে ২৫ জনে ওই জমিতে অবৈধভাবে রাতের আধারে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করে ও সোমবার রাতে আমাদের অনুপস্থিতিতে ৩ টা ঘর তোলে।
তারা আরো বলেন, অবৈধ দখলদারীদের হাত থেকে জমিটি রক্ষা করার জন্য তালতলী থানায় একাধিকবার জিডি করা হয়েছে ও আমতলী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দখলদাররা অদৃশ্য খুঁটির জোরে আমাদের জমি দখল দেওয়ার চেষ্টা করে ও শেষ পর্যায়ে আমার কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।
এদিকে অভিযুক্ত রাজু গং রাতে ঘর উঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমার জায়গাতেই আমি ঘর উঠিয়েছি।
এ বিষয় তালতলী থানার (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ বিষয়ে সিদ্দিকুর রহমানের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন