ঈদ এ মিলাদুন্নবী, সাপ্তাহিক ছুটি ও দূর্গা পূজা ঘিরে পর্যটকদের উপচেপড়া ভীড়ে মুখর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। আগামী ১ সপ্তাহের আগাম বুকিং হয়ে গেছে আবাসিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্টগুলো। রুম সংকট দেখা দিয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেনীর আবাসিক হোটেল গুলোর মধ্যে অনেকেই অতিরিক্ত মুনাফার লোভে রুম খালি থাকতেও আগাম বুকিং নিচ্ছে না এমন অভিযোগ অনেকেরই। গত বৃহস্পতিবার থেকে একটানা পর্যটক রয়েছে সমুদ্র সৈকতে। এমন ভীড় থাকবে আগামী রোববার পর্যন্ত এমনটাই জানিয়েছেন আবাসিক হোটেল মোটেল সমিতির নেতৃবৃন্দ। বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও পর্যটকদের যেন উৎসাহ উদ্দিপনার শেষ নেই। বিভিন্ন দর্শনীয় স্পটগুলোতে ঘুরে বেড়ানো, কেনাকাটা এবং সমুদ্রে গোসল ও হই হুল্লোড়ে মেতে ওঠে পর্যটকরা। আগত পর্যটকরা সমুদ্রের নোনা জলে নেচে গেয়ে আনন্দ উন্মাদনায় দিন পার করছেন। অনেকে আবার সেল্ফি তুলে ছবি ছড়িয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রকৃতিকে। পর্যটকের এমন ভীড়ে বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেল মোটেল। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিষ্ট পুলিশসহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে প্রতিনিয়ত ভীড় বাড়ছে পর্যটকদের। ছুটির দিন গুলোতে তীল ধারনের ঠাই পাওয়া যায় না। আগে যেখানে ছুটির দিন ছাড়া তেমন একটা পর্যটকদের আগমন ছিল না। সেখানে এখন প্রতিনিয়ত পর্যটক থাকছে। আর এতে খুশি পর্যটক নির্ভর ব্যবসায়িরা।
আবাসিক হোটেলের পাশাপাশি খাবার হোটেল, বার্মিজ মার্কেট, শুটকী মার্কেট, ফিস ফ্রাই মার্কেট সব জায়গায়ই ভীড় দেখা গেছে। দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখার পাশাপাশি পছন্দের কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন পর্যটকরা। আগামী নভেম্বর থেকে আরো ভীড় বাড়বে বলে প্রত্যাশা পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীদের।
আবাসিক হোটেল সৈকত’র ব্যবস্থাপক সাজ্জাদ হোসেন সাগর জানান, তাদের হোটেলে অর্ধশতাধিক রুম রয়েছে। সবগুলো রুমই আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ রুমের জন্য যোগাযোগ করছে।
পর্যটন করপোরেশনের মোটেল যুব পান্থ নিবাস সুত্রে জানান, আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত যুব পান্থ নিবাস অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। এখনও অনেকেই রুমের জন্য মুঠো ফোনে যোগাযোগ করছেন। রুম না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন বলে জানান যুব পান্থ নিবাস কর্তৃপক্ষ।
কুয়াকাটা আবাসিক হোটেল মোটেল ওনার্স এসোশিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোতালেব জানান, ৫ অক্টোবর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেনীর আবাসিক হোটেলগুলোর বেশিরভাগ রুমই আগাম বুকিং রয়েছে। তবে এসি রুমের চাহিদা বেশি থাকলেও পর্যাপ্ত এসি রুম না থাকায় চাহিদা পুরণ করা যাচ্ছে না।
কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আঃ খালেক জানান, সাপ্তাহিক ছুটির পাশাপাশি দূর্গা পুজাকে ঘিরে অসংখ্য পর্যটকদের আগমন ঘটছে। ৫ তারিখ থেকে আরো ভীড় বাড়বে। পর্যটকদের এমন ভীড়কে মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। পর্যটকরা ভ্রমণে এসে নিরাপত্তাজনিত কারনে যেন কোন অপ্রতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন না হয় সেই দিকে কঠোর নজরদারী রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন