বিএনপির আইনজীবী ও আওয়ামী লীগের ডাক্তার মেয়র প্রার্থী
স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রার্থীর সংখ্যা মোট ২০১ জন। এর মধ্যে ১৭৬ জনেরই পেশা ব্যবসা।
শিল্পপ্রধান এই সিটি নগরীতে আগামী ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে অংশ নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দেয়া হলফনামা পর্যবেক্ষণ করে প্রার্থীদের মধ্য্যে ৮৭ শতাংশ ব্যবসায়ীর তথ্য পাওয়া গেছে। মোট প্রার্থীর বাকি ২৬ জনের কেউ চিকিৎসক, কেউ আইনজীবী, কেউ শিক্ষক, কেউ কৃষিজীবী, কেউ গৃহিণী। দলিল লেখা ও টিউশনি পেশায় থাকা ব্যক্তিরাও প্রার্থী হয়েছেন। মেয়র পদে দুই প্রধান প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী হলফনামায় নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে দেখিয়েছেন। বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান লিখেছেন আইন ব্যবসা।
আইনজীবী হিসেবে সাখাওয়াত সক্রিয় থাকলেও এমবিবিএস ডিগ্রিধারী আইভীকে চিকিৎসার কাজে দেখা যায় না। প্রবাস থেকে ফিরে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর নতুন সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র হয়েছিলেন তিনি। মেয়র পদে সাত প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৫৬ জনের মধ্যে ১৪৪ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৮ জনের মধ্যে ২৬ জন নিজেদের পেশা ব্যবসা উল্লেখ করেছেন। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর একটি মোর্চা ‘ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ-ইডব্লিউজির পরিচালক আব্দুল আলীম ইনকিলাবকে বলেন নির্বাচনে অর্থের ছড়াছড়ির সঙ্গে ব্যবসায়ীদের প্রার্থী হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। নির্বাচন করতে গিয়ে প্রচুর টাকার দরকার পড়ে। নির্বাচন কমিশন ব্যয়সীমা বেঁধে দিয়েও তা তদারকি না করায় অর্থের ছড়াছড়িও বন্ধ হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে রাজনীতিকদের পেছনে ফেলে ব্যবসায়ীরাই এখন ভোটের দৌড়ে এগিয়ে। ইডব্লিউজির পরিচালক আলীম বলেন, জাতীয় সংসদে নির্বাচিতদের ৬০ শতাংশের পেশা ব্যবসা। এর আগের নির্বাচনে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও প্রার্থিতার দৌড়ে এগিয়ে ছিল ব্যবসায়ীরা। দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা টিআইবি সম্প্রতি দাবি করে, গত বছরের ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে প্রার্থীরা তাদের সীমার চেয়ে সাত থেকে ২১ গুণ পর্যন্ত বেশি ব্যয় করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন