নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে আজ রোববার বিকেল চারটায়। টানা আট ঘণ্টার ভোট গ্রহণ শেষে এখন ফলের অপেক্ষা। আলোচিত এই ভোটের নানা ঘটনাপ্রবাহ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার শীর্ষে ছিল।
দিনভর নাসিক ভোট নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে নেটিজেনদের মাঝে। সবার নজর ছিল কী হতে যাচ্ছে নির্বাচনে। নির্বাচনের বিভিন্ন খবর পোস্ট করে এই আগ্রহের জানান দিতে দেখা যায় অনেককে।
এদিকে, ইভিএমে ভোট দেয়াকে বউয়ের কবুল বলার মত আনন্দময় বলেছেন বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। রবিবার ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে নিউ চাষাড়া জামতলার আদর্শ স্কুল কেন্দ্রে তিনি ভোট দেন।
ভোট শেষে তিনি বলেন, আজকে প্রথম ভোট দিলাম ইভিএমে। ভোটটা দিয়ে ভালো লাগলো। আমার বউ যখন কবুল বলেছিল, সেরকম আনন্দ হল ইভিএমে ভোট দিয়ে। আমার ফিঙ্গারপ্রিন্ট সবসময় ঝামেলা করে। আজকে করল না। তার মানে মেশিনটা ভালো।
শামীম ওসমানের এই মন্তব্য দ্রুতই ভাইরাল হয় ফেসবুকে। অনেকেই কোড করা এই মন্তব্য পোস্ট করে মজা করেন।
ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিওতে নাসিক নির্বাচনে ইভিএমে ভোট নিয়ে বেশ কিছু বিভ্রাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেকের আঙুলের ছাপ মিলছিল না, অনেকে আবার কীভাবে ভোট দিতে হবে বুঝতে পারছিলেন না। বহু ভোটারকে দীর্ঘ সময় লাইনে অপেক্ষা করেতে দেখা গেছে। এনিয়ে ক্ষোভ জানান ভুক্তভোগী ভোটাররা।
নির্বাচনে মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নৌকা মার্কার সেলিনা হায়াৎ আইভী ও হাতি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। আইভী ও তৈমুর আলম ছাড়া মেয়র পদে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসিম উদ্দিন (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।
ফেসবুকে পোস্ট করা বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, অনেক কেন্দ্রে আজ ভোট গ্রহণের উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল। তরুণ থেকে অশীতিপর বৃদ্ধও তাঁদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগের এই সুযোগ নিতে আগ্রহ নিয়েই ভোটকেন্দ্র এসেছেন। তবে ইভিএম জটিলতা নিয়ে প্রার্থীরাও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ইভিএমের সমালোচনা করে ফেসবুকে দাউদ মীর লিখেছেন, ‘‘ইভিএম এর কি দরকার সেটাই বুঝি না, আমাদের দেশের করতা বাবুরা এখনও নিজেরা ইভিএম ১০০% বুঝে না সেখানে এভাবে জনগনকে হয়রানি করার মানে জনগনের মতামতকে উপেক্ষা করা তাদের সময়ের মুল্য কারো কাছে নাই!’’
সানজিদা উল হাসান লিখেছেন, ‘‘৫ বছর হয়ে গেলো এখনো এই মেশিন সম্পর্কে মানুষদের শিখাতে পারলেন না!!! এই ব্যার্থতা কার??? মেশিন দিয়ে কারচুপি করতেও তো সময় লাগে।’’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন