সদ্য অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে দুই লাখ ৯১ হাজার ৩৮২টি। এর মধ্যে ৪৭১টি ভোট বাতিল হয়েছে। ভোটার সংখ্যা ছিল ৫ রাখ ১৭ হাজার ৩৬১ ভোট।
মেয়র পদে সাত জন প্রার্থীর মধ্যে খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেওয়াল ঘড়ি) পেয়েছেন ১০ হাজার ৭২৪ ভোট, স্বতন্ত্র থেকে বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার (হাতি) পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৬২ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাও. মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা) পেয়েছেন ২৩ হাজার ৯৮৭ ভোট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ) পেয়েছেন এক হাজার ৩০৯ ভোট।
এছাড়া বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাত ঘড়ি) পেয়েছেন এক হাজার ৯২৭ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া) পেয়েছেন এক হাজার ৩০৫ ভোট এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা) পেয়েছেন এক লাখ ৫৯ হাজার ৯৭ ভোট।
আইন অনুযায়ী, প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের অন্তত এক ভাগ ভোট পেতে হয় জামানত রক্ষায়। নাসিকের প্রদত্ত ভোটের আটের এক ভাগ হচ্ছে ৩৬ হাজার ৪২৩ ভোট। কিন্তু এই সংখ্যক ভোট আইভী আর তৈমূর ছাড়া কেউ পাননি। তাই অন্য পাঁচ প্রার্থীর জামানত বাতিল হচ্ছে
নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের জামানত বাবদ ৩০ হাজার টাকা জমা দিতে হয়েছিল। ইসি নির্দেশনা অনুযায়ী, পাঁচ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্তের প্রতিবেদন সাত দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে
কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল থেকে আরও জানা গেছে, ১৯২টি কেন্দ্রের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া) পাঁচটি কেন্দ্রে একটি ভোটও পাননি
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেফজুর রহমান মিন্টুদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) শূন্য ভোট পেয়েছেন তিনটি কেন্দ্রে। আর বটগাছ প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের জসীম উদ্দিন মোট ছয়টি কেন্দ্রে শূন্য ভোট পেয়েছেন। এই তিনজনই চাষাড়ার আদর্শ স্কুলের দুই নম্বর ভোটকেন্দ্রে শূন্য ভোট পেয়েছ
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নাসিকের ২৭টি ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ করে ইসি। এতে সেলিনা হায়াৎ আইভী বিরাট ব্যবধানে তৃতীয়বারের মতো মেয়র পদে জয়লাভ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন