মোহাম্মদ সোহেল, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) থেকে : মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠে চোখ জুড়ানো হলুদ সরিষার খেত। এই হলুদ ফুলের দৃশ্য পরিবর্তনে সরিষা হয়ে পাকার আর কিছুদিন পরে মাঠ থেকে ওই সরিষা তুলবেন চাষিরা। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে এখন হলুদের ঢেউ। সরিষা গাছে ফুল আসায় এমন চোখ জুড়ানো দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ভালো ফলনের আশা করছেন চাষিরা। আর সরিষা ক্ষেত থেকে সরিষা ও বইতা শাক তুলে তা বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন চাষিরা। সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, অনুকূল আবহাওয়া আর যথাযথ পরিচর্যার কারণে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাটুরিয়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, সাটুরিয়া উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমে ১৮৩৮ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। গতবার হয়েছিল ১৭৯৪ হেক্টর জমিতে। উপজেলায় ৩ জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। টুরি ৭ জাতের সরিষা আবাদ হয়েছে ৭০২ হেক্টর, বারি ১৪ জাতের সরিষা আবাদ হয়েছে ১১১৯ হেক্টর জমিতে, আর বাড়ি ১৫ জাতের সরিষা আবাদ হয়েছে ১৭ হেক্টর জমিতে। মাঘ মাসের শেষদিকে ও ফাল্গুনের শুরুতে ক্ষেত থেকে সরিষা তোলা শুরু হবে। তেলবীজ সরিষা বাজারে এখনো না এলেও বিক্রি হচ্ছে সরিষার শাক ও সরিষা ক্ষেতে জন্মানো বইতা শাক। বাজারে এই শাকের চাহিদা থাকায় জমি থেকে শাক উঠিয়ে বাজারে বিক্রি করেও আয় করেন কৃষক। আর উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় সাটুরিয়ার চাষিরা দিন দিন সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। সদর ইউনিয়নের পাড়াগ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম মাস্টার জানান, এবার ৫০ শতাংশ জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। গতবারও ৫০ শতাংশ জমিতে সরিষার চাষ করেছিলাম। এবারও একই পরিমাণ জমিতে সরিষা চাষ করেছি। ফলন দেখে মনে হচ্ছে, গতবারের চেয়ে এবার উৎপাদন আরো বেশি হবে। সে কারণে বেশি লাভের আশা করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন