শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

জাতীয় দলের কোচ হতে চান সুজন

| প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : ২০১৪-১৫ ক্রিকেট মৌশুমে ঘরোয়া ক্রিকেটের শীর্ষস্থানীয় তিনটি আসরের তিনটিরই ট্রফি জয়ী দলের কোচ তিনি। খালেদ মেহমুদ সুজনের প্রশিক্ষণে প্রাইম ব্যাংক সে মৌশুমে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ ছাড়াও বিজয় দিবস টি-২০ এবং বিসিএল শিরোপা জিতিয়েছেন ওই ব্যাংকটিকে। ২০০৯-১০ মৌশুমেও প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগে শেখ জামাল ধানমন্ডী ক্লাব এবং প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে আবাহনীর শিরোপা জয়ের নেপথ্যেও এই কোচ। ৬ বছর পর সেই আবাহনী শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে কোচ হিসেবে সুজনকে পেয়েই। ক্রিকেটারদের মোটিভেটর এই কোচ করেছেন লেভেল থ্রি কোচেস কোর্স। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সহকারী কোচের দায়িত্বও করেছেন পালন। অথচ, হেড কোচ জেমি সিডন্সের একতরফা নীতির প্রতিবাবে ২০১০ সালে বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে আর ফেরেননি জাতীয় দলে। বিসিবি’র এডহক কমিটিতে থেকে বিপিএলে কোচিং করা যাবে না, এ শর্ত পালনে ২০১২ সালে ছেড়ে দিয়েছিলেন বিসিবি’র এডহক কমিটির সদস্যপদ পর্যন্ত। দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে চিটাগাং কিংসের কোচের ভূমিকায় হয়েছেন অবতীর্ণ। ক্রিকেটার কোটায় কাউন্সিলর হয়ে বিসিবি’র এই পরিচালক এই দায়িত্ব যতোটা না উপভোগ করেন, তার চেয়ে বেশি উপভোগ করেন তিনি কোচের দায়িত্ব। গতবছর বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের উপদেষ্টার দায়িত্বটা সেভাবে করেননি উপভোগ, কোচ হিসেবে ঢাকা ডায়নামাইটসকে বিপিএলের শিরোপা স্বাদ পাইয়ে দিয়ে সে সত্যিই করেছেন উচ্চারণ।
সাঙ্গাকারা, মাহেলা, ডুয়াইন ব্রাভো, আন্দ্রে রাসেল, রবি বোপারার মতো বড় বড় টি-২০ ক্রিকেটারদের কোচ হয়ে মাঠে এবং মাঠের বাইরে সফল পরিকল্পনায় লক্ষ্যটা এখন তার কোচিংয়ে আরো বেশি মনোনিবেশ। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পেতে চান সাবেক অধিনায়ক খালেদ মেহমুদ সুজনÑ ‘কোচিংয়ের প্রতি আমার অনেক ভালোলাগা। আমি সবসময় বলেছি যত কিছুই করি কোচিংটা সবচেয়ে ভালোবাসি এবং এটি কখনোই ছাড়ব না। আগেও বলেছি আমি বাংলাদেশ দলের কোচ হতে চাই। কবে পারব বা আদৌ পারব কি না, তা জানি না। তবে শরীর যতদিন ফিট থাকে, আমি সে চেষ্টা করে যাব।’
দ্য ফাইটার খেতাবটা সুজনকে দিয়েছে মিডিয়া। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে স্মরণীয় জয়ের নায়ক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সেই ফাইটার চরিত্র কোচিং ক্যারিয়ারেও করছেন প্রয়োগ। সেই দর্শনের কথাই জানিয়েছেনÑ ‘আপনারা সবাই বলেন আমি লড়াকু, ‘ফাইটার।’ লড়াই করার ব্যাপারটি অনেক কম বয়স থেকে আমার ভেতরে আছে। আমি সবসময় একটু ছোট দল নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসি। এবার দায়িত্ব ছিল বড় দলের। চাপ ছিল, তারপরও তা কাটিয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে চেয়েছি। আমি এখন অনেক বেশি পরিণত, তাই চাপ সামলাতে কোনও সমস্যা হয়নি।’
কোচ হিসেবেও যে তাকে অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, তারকা সর্বস্ব ঢাকা ডায়নামাইটসের কোচ হয়ে শিখেছেনও অনেক কিছু, তা অকপটে বলেছেন সুজনÑ ‘জয়াবর্ধনেকে একাদশে জায়গা দিতে পারিনি আমরা। ওর মতো ক্রিকেটারকে আমি কীভাবে এটা বলব! তার পরও কাজটি আমাকে করতে হয়েছে এবং করেছি। সাঙ্গাকারকেও এক ম্যাচে বসিয়ে রেখেছি। সব কিছু থেকেই শেখার আছে। আশা করি এই শিক্ষাটা থেকে আমি বাংলাদেশ দলকে সহায়তা করতে পারব।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন