ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী পালমিরা শহর থেকে যোদ্ধা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। রাশিয়ার প্রচন্ড বিমান হামলার মুখে গতকাল রোববার ভোরে পালমিরা থেকে আইএস সরে যায় বলে খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। সিরীয় বাহিনীর সশস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেঙে গত শনিবার পালমিরায় ফের প্রবেশ করেছিল আইএস। এর কয়েক ঘণ্টার মাথায় রুশ বিমান হামলার মুখে পালমিরা থেকে সরতে বাধ্য হয় আইএস। পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেন, পালমিরা পুনর্দখলে নেয়ার পর গত রাত থেকে রাশিয়া প্রচ- বিমান হামলা চালায়। হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আইএস শহরটি ছাড়তে বাধ্য হয়। রামি আবদেল রহমান আরও বলেন, পালমিরায় রাশিয়ার চালানো বিমান হামলায় আইএসের বিপুলসংখ্যক যোদ্ধা নিহত হয়েছে। তবে এই সংখ্যা কত, তা জানাতে পারেননি তিনি। পালমিরা থেকে হটিয়ে দেয়ার প্রায় নয় মাস পর গতকাল শহরটির অধিকাংশ এলাকা পুনর্দখলে নিয়েছিল আইএস। পুনর্দখলকে কেন্দ্র করে পালমিরার কেন্দ্রস্থলে সরকারপন্থী বাহিনী ও জিহাদিদের মধ্যে তুমুল লড়াই হয়। শহরটির নিয়ন্ত্রণ কম-বেশি আইএসের হাতে চলে যায়। ঘটনার পর পালমিরা থেকে আসা বিভিন্ন খবরে বলা হয়, আইএসের সঙ্গে লড়াইয়ে অন্তত ৫০ জন সিরীয় সেনা নিহত হয়। বাকি সেনারা পালিয়ে যায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পালমিরায় থাকা বেসামরিক লোকজনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত পালমিরায় টিকতে পারল না আইএস। চলতি বছরের মার্চ মাসে আইএসের কাছ থেকে পালমিরা পুনর্দখল করে সিরীয় বাহিনী। কিন্তু আইএসের জঙ্গিরা চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে আকস্মিক হামলা শুরু করে। পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, পালমিরা হাতছাড়া হওয়ার পর আইএস ফের সংগঠিত হচ্ছিল। তারা জুতসই সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। সবার দৃষ্টি যখন সিরিয়ার আলেপ্পোর দিকে, ঠিক তখনই তারা পালমিরায় ঢুকে পড়ে। ‘মরুর মুক্তা’ হিসেবে পরিচিত পালমিরা প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনে সমৃদ্ধ। পালমিরা ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। ২০১৫ সালের মে মাসে প্রথম পালমিরা দখল করে আইএস। তারা সেখানকার বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত মন্দিরসহ অনেক স্থাপনা ধ্বংস করে।
এর আগের খবরে বলা হয়, প্রায় নয় মাস পরে আবার সিরিয়ার প্রাচীন নগরী পালমিরা দখল করেছে ইসলামিক স্টেট আইএসের যোদ্ধারা। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পালমিরার কেন্দ্রে ভারী লড়াই করছে জেহাদি আর সরকারপন্থী বাহিনী। সেখান থেকে বেশিরভাগ সরকারি সৈন্য পালিয়ে গেছে। এ অবস্থায় সেখানকার বেসামরিক মানুষজনের ভাগ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পর্যবেক্ষক সংগঠকগুলো। ডিপিএ, এপি, বিবিসি, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন