স্টাফ রিপোর্টার : অনলাইন মার্চেন্ট পে-প্যাল শিগগিরই বাংলাদেশে তাদের সেবা চালু করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গতকাল (রোববার) রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন। পে-প্যাল একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান, যারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তরে সহযোগিতা করে। অনলাইনে অর্থ স্থানান্তরের এই পদ্ধতি চেক বা মানি অর্ডারের মত গতানুগতিক অর্থ লেনদেন পদ্ধতির বিকল্প। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ হওয়ার পর প্রায় ৪০ শতাংশ ব্যাংকিং লেনদেন হয় অনলাইনে। এখন একটাই বড় সমস্যা। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, যত দ্রæত সম্ভব ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট গেইটওয়ে সল্যুশনটা করা। এ বিষয়ে সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে জানিয়ে তিনি বলেন, পে-প্যালের সহযোগী জুমের সাথে সিলিকন ভ্যালিভিত্তিক আমাদের একটি কোম্পানির চুক্তি হয়েছে। বিশ্বের ৩৮টি দেশে জুমের অপারেশন আছে। আমরা সা¤প্রতিক সময়ে পে-প্যাল ভাইস প্রেসিডেন্ট সাথে ফলপ্রসূ মিটিং করেছি। ইবিএলসহ সরকারি তফসিলভুক্ত চার থেকে পাঁচটি ব্যাংকে বর্তমানে টেস্ট ট্রানজেকশন হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পে-প্যাল পার্টনার জুমের সাথে আমরা লেনদেনে চলে যাব। খুব দ্রæতই আমরা বাংলাদেশে পে-প্যাল নিয়ে আসতে পারব। একটি পে-প্যাল একাউন্ট খোলার জন্য কোনো ব্যাংক একাউন্টের ইলেকট্রনিক ডেবিট কার্ড অথবা ক্রেডিট কার্ডের প্রয়োজন পড়ে। পে-প্যালের মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে গ্রহীতা পে-প্যাল কর্তৃপক্ষের কাছে চেকের জন্য আবেদন করতে পারেন, নিজের পে-প্যাল একাউন্টের মাধ্যমে খরচ করতে পারেন অথবা পে-প্যাল একাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা করতে পারেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন