রাজধানীর উত্তরা আওয়ামী লীগে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানায় বেশ কিছু বিতর্কিত প্রার্থীদের পদে আসা নিয়ে বেশ জল্পনা চলছে। এ নিয়ে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাঝে প্রতিক্রিয়াও দেখা দিয়েছে। গত জুলাই মাসে এ অঞ্চলের আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের পর থেকে পদে আসতে নেতারা বিভিন্ন মাধ্যমে দৌড়ঝাঁপ করছেন। পদ প্রার্থীর অনেক নেতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ও বিএনপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ আছে। এসব অভিযোগ নিয়ে নামে-বেনামে বিভিন্ন মাধ্যমে স্থানীয় এমপি ও নগর নেতাদের কাছে একাধিক অভিযোগও জমা দিয়েছেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, উত্তর সিটির ৫৩ নং ওয়ার্ডে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী কফিল উদ্দিন এবার ওয়ার্ডের সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন। এলাকায় দখলবাজির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। একটি ডেভেলপার কোম্পানির হয়ে সাধারণ মানুষের জায়গাজমি দখলে সহযোগিতা করেছেন। তাছাড়া ওই এলাকায় কাঁকড়া রফতানিকারক ব্যবসায়ীদের নানাভাবে জিম্মি করে রাখারও অভিযোগ রয়েছে। একই ওয়ার্ডে আরেক সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জামাল উদ্দিন একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়ের সাথে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিটি নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে দলীয় নিষ্ক্রিয়তাসহ বিএনপির নেতাদের সাথে সখ্যতার বিষয়টি উঠে এসেছে অভিযোগে। উল্লেখ্য, তুরাগ বিএনপির সাবেক সভাপতি আতিকুর রহমান তার আত্মীয়। সেই সুবাধে তার পদে আসার বিষয়ে সাধারণ নেতাকর্মীরা অনেকটাই আস্থাহীন। তবে এসব বিষয়ে তিনি বলেন, সামাজিক অনুষ্ঠানের ছবি নিয়ে যারা রাজনীতি করে তারা নোংরা মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। আর দলীয় নিষ্ক্রিয়তার বিষয় মানতে রাজি নয়।
এদিকে ৫১নং ওয়ার্ডে সভাপতি পদে আসতে চাচ্ছেন সাবেক হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আবুল হোসেন। তিনি উত্তর সিটির ৫১ নং ওয়ার্ডে দলের বিদ্রোহীপ্রার্থী হয়ে কাউন্সিলর নির্বাচন করেন। তার বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজি, জায়গা দখলসহ নানান অভিযোগ রয়েছে। একই ওয়ার্ডে আরেকজন প্রার্থী আরেফিন সিদ্দিকীকে নিয়ে রয়েছে সমালোচনা। তার বিরুদ্ধে নব্য আওয়ামী লীগার হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন অন্যান্য প্রার্থীরা। ৫৪ নং ওয়ার্ডে সোহেল শেখ আরো একজন বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন। তাকে নিয়ে এর আগেও বেশ বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সোহেল শেখ এর আগে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে।
উত্তরা ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আসতে চান, গত কমিটির একজন যুগ্ম সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অস্ত্রের ব্যবহারসহ চাঁদাবাজির অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা রয়েছে। তাকে পদে আনতে নগর আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা বেশ দৌড়ঝাঁপ করছেন।
এছাড়া উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে কতুব উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে বিএনপির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ বেশ পুরোনো। এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ এবং বিএনপির সাবেক এমপির হাতে ফুল দিয়ে সমাবেশ-এ উপস্থিতির কিছু ছবিও যুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া উত্তরখান থানা আওয়ামী লীগের আরেক সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাবেক ছাত্রনেতা মিলনের বিরুদ্ধে জুট ব্যবস্থাসহ বিএনপির একজন সিনিয়র নেতার জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন