দেশে প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে স্যাটেলাইট ভিত্তিক অ্যাপস
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দেশে প্রথমবারের মতো চালু হতে যাচ্ছে স্যাটেলাইট ভিত্তিক অ্যাপস। এই অ্যাপসের মাধ্যমে স¤প্রসারণ কর্মীরা স্যাটেলাইট ডেটা ও আবহওয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে কৃষককে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে তথ্য ও দিক নির্দেশনা দিতে সক্ষম হবে। তিনটি প্রতিষ্ঠান এ অ্যাপসের ওয়েব এপ্লিকেশন তৈরিতে কাজ করবে। প্রাথমিকভাবে দেশের ১২ টিজলায় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
গতকাল রাজধানীতে এ বিষয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। ইনটেলিজেন্ট ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেম (আইডিএসএস) শীর্ষক এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ত্রিপক্ষীয় সাক্ষর করেন কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ হামিদুর রহমান, নেদারল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (এসএনভি) কান্ট্রি ডাইরেক্টর জেসন বেলানজার এবং এসিআই লিমিটেডের (এগ্রিবিজনেস) নির্বাহি পরিচালক ড. ফা হ আনসারী। প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা করছেনদারল্যান্ড স্পেস অফিস ও এসিআই লিমিটেড।
ড. ফা হ আনসারী বলেন, স্যাটেলাইট ডেটা ও আবহওয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে কৃষককে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও দিক নির্দেশনা দিতে সক্ষম হবেন স¤প্রসারণ কর্মীরা। প্রাথমিকভাবে দেশের ১২ টি জেলায় পাইলট আকারে এ কর্মসূচি চালু হবে। জেলাগুলো হলো- পটুয়াখালী, বরগুনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, বগুড়া, নওগা, রংপুর, দিনাজপুর, কক্সবাজার, খুুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরা।
তিনি আরো বলেন, এই অ্যাপসের মাধ্যমে কৃষকরা এগ্রোনোমিক প্রাকটিসের সকল বিষয়ে সঠিক তথ্য নিতে পারবে। যেমন এ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকরা সহজেই আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানা, সামনের দিনগুলোতে কখন বৃষ্টিপাত, বন্যা, খরা বা অনান্য প্রতিকূল পরিস্থিতি কোনো পর্যায়ে রয়েছে সে বিষয়ে সঠিত তথ্য দিতে সক্ষম হবে।
বালাই ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে সক্ষম হবে। আদ্রতা বা আবহাওয়ার পরিবির্তিত পরিস্থিতিতে কোন ধরনের বালাই বা কীটনাশকের আক্রমণ হতে পারে সে বিষয়ে পূর্বাভাস দিতে সক্ষম হবে। যেকোনো ফসলের উৎপাদন কখন কি পর্যায়ে রয়েছে সে বিষয়ে তথ্য দিতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি উৎপাদনশীলতার বিষয়ে সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারবে। এতে করে মাঠে আবাদকৃত কোন ফসলের উৎপাদন কোন নির্দিষ্ট এলাকায় কোন পর্যায়ে রয়েছে সে বিষয়ে ডিএই সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারবে। জাতীয়ভাবে যা সরকারকে সঠিক নীতি গ্রহণে সহায়তা করবে বলে জানান প্রজেক্টের টিম লিডার শামীম মুরাদ।
কৃষিবিদ হামিদুর রহমান বলেন, স¤প্রসারণ কর্মীদের সক্ষমতা বাড়াতে প্রযুক্তি নির্ভরতার কোনো বিকল্প নেই। কৃষককের সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে এ প্রযুক্তি সহায়তা করবে।
কৃষি মন্ত্রণালয় তথ্য অনুসারে, ডিএইতে বর্তমানে আটটি বিভাগে নিয়োজিত রয়েছেন ২৬ হাজার ৪২ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী। যারা দেশের কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এর মধ্যে সরেজমিন উইং দেশব্যাপী কাজ করছে। এ বিভাগের কার্যক্রম দেশের ১৪টি অঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এজন্য এ বিভাগে সবচেয়ে বেশি ২২ হাজার ৭১৬ জন কর্মরত আছেন। এর মধ্যে পৗরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৪ হাজার ৩২, উপজেলায় ৬ হাজার ৮১৮ এবংজলা ও মেট্রোপলিটন কার্যালয়ে রয়েছেন ১ হাজার ৫৩৪ জন। মাঠ পর্যায়ের এসব কর্মীরা এখন থেকে এই অ্যাপস ব্যবহার করে কৃষক কে কোনো তথ্য দিতে সক্ষম হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন