টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে গ্রæপ-২ এ নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে আসরে টিকে থাকতে চায় পাকিস্তান। অন্যদিকে পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে চায় প্রোটিয়ারা। আজ অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে মহাগুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হচ্ছেন বাবর আজমরা। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
এবারের বিশ্বকাপে ভয়ঙ্কর পেস আক্রমণ এবং ফর্মে থাকা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে ইতোমধ্যে নিজেদের ‘ডার্ক হর্স’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে দক্ষিন আফ্রিকা। টুর্নামেন্টের সুপার টুয়েলভে এখন পর্যন্ত নিজেদের তিন ম্যাচের দু’টিতেই জিতেছে তারা। আর একটি ম্যাচ ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। দুই জয়ের একটি আছে বাংলাদেশ ও আরেকটি শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে। অন্যদিকে গ্রæপে নিজেদের তিন ম্যাচের মধ্যে ভারত ও জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে ব্যাকফুটে থাকা পাকিস্তান তৃতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতেছে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। প্রোটিয়াদের কাছে হেরে গেলে পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে থাকা পাকিস্তানকে বিদায় নিতে হবে বিশ্বকাপ থেকে। জিতলে তারা টিকে থাকবে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে। এক্ষেত্রে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেতে হবে পাকিস্তানকে। আর ভারতকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেদারল্যান্ডসের কাছে হারতে হবে। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে স্বাভাবিকভাবেই চাপে আছে বাবর আজম বাহিনী। তবে অনেকটাই নির্ভার আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ তিন ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্সই তা প্রমাণ করে। তাই তো পাকিস্তান ম্যাচের আগে গতকাল তাদের মিডলঅর্ডার ব্যাটার ডেভিড মিলার বলেন,‘আমার মতে পাকিস্তানকে চেপে ধরার এটিই ভালো সুযোগ। এই খেলাটি আত্মবিশ্বাসের এবং আমার মনে হয় তারা যেভাবে চেয়েছিল সম্ভবত সেভাবে পারফর্ম করতে পারেনি। আমি জানি তাদের বিশ্বমানের খেলোয়াড়রা সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করবেন এবং ম্যাচটি চ্যালেঞ্জিং করে তুলবেন।’ তিনি যোগ করেন,‘আমাদের চাপ তেমন একটা নেই। আমরা নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলেই ইতোমধ্যে দুই জয় তুলে নিয়েছি। পাকিস্তানকে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করাই এখন আমার দলের প্রধান লক্ষ্য।’
ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় পাওয়া ম্যাচটিতে অপরাজিত থেকে হাফসেঞ্চুরি করেছেন মিলার। যা দক্ষিণ আফ্রিকাকে স্থিতিশীল ও শিরোপা প্রত্যাশী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এ প্রসঙ্গে মিলার বলেন,‘আমরা জয়ের অনেক পথ খুঁজে পাচ্ছি বলে মনে করি। সুনর্দিষ্ট একটি সময়ের মধ্যে এটি করেছি। আমি বলতে চাই, গত বছর আমাদেরকে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয়েছে। তবে এবার সেটি অতিক্রম করতে পেরেছি। আমার মনে হয় সময় যতই গড়াচ্ছে দলের মধ্যে ধারাবাহিকতার সৃষ্টি হচ্ছে, সতীর্থরা তাদের ভুমিকা খুঁজে পাচ্ছে এবং একজন খারাপ করলে অন্যজন তা পুষিয়ে দিচ্ছে।’
এদিকে এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে যন্ত্রদায়ক হারটি নিয়ে পাকিস্তান শিবিরে এখনো আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন দলটির তরুণ বোলার নাসিম শাহ। চিরপ্রতিদ্ব›িদ্ব ভারতের কাছে শেষ বলের নাটকীয়তায় হেরেছিল পাকিস্তান। পরের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছেও শেষ বলের নাটকীয়তায় হারতে হয়েছে তাদের। তৃতীয় ম্যাচে অবশ্য নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ান বাবর আজমরা। ভারতের বিপক্ষে হেরে যাওয়ার ঘটনা থেকে পাকিস্তান এখনো বেরিয়ে আসতে পেরেছে কিনা? গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে নাসিম বলেন,‘না, আমি তেমনটা মনে করিনা, কারণ দলের সবাই পেশাদার এবং সবাই নিজেদের সম্পর্কে জানে। আমরা ভারতের কাছে হেরেছি, তবে আমি মনে করিনা সবাই এটি নিয়ে খুব বেশী ভাবছে। কারণ পেশাদাররা কখনো অতীতের পরাজয় নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায় না।’ দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ নিয়ে নাসিম শাহ বলেন,‘আমরা প্রস্তুত দক্ষিণ আফ্রিকাকে মোকাবেলা করতে। নিজেদের সেরাটা দিয়েই এ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকতে চাই।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন