ছাত্রলীগ নেত্রীর নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল গরু চুরি। যাদের গরু চুরি হচ্ছিল তাদের অনেকেই থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু অভিযোগের পরও বন্ধ হয়নি গরু চুরি। অবশেষে ছাত্রলীগ নেত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে গরু চুরি চক্রের অপর চার সঙ্গীসহ।
ঘটনাস্থল ঢাকার ধামরাই থানা এলাকা। সাভারে বসবাস করে ছাত্রলীগ নেত্রী গরু চুরির জন্য বেছে নিয়েছিলেন ধামরাই থানা এলাকা। গতকাল এলাকায় দিনভর ছিল গরু চুরির সাথে জড়িত নেত্রীসহ তার সঙ্গীদের নিয়ে আলোচনা। পুলিশ বলছে, কয়েকটি এলাকায় একের পর এক গরু চুরির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেত্রী বাবলী আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ধামরাই ও সাভার থানা পুলিশ যৌথ অভিযানে নামে গতকাল ভোর রাতে।
ছাত্রলীগ নেত্রী বাবলীকে ভোর রাতে সাভার পৌর এলাকার রেডিও কলোনির নয়াবাড়ি থেকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধামরাই থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম। গ্রেফতারকৃত বাবলী ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক। বাবার নাম বাদশা মিয়া। তিনি সাভার পৌরসভার নয়াবাড়ি এলাকায় বসবাস করেন।
অভিযানে বাবলীর চার সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হলো বরিশালের মুলাধি থানার গলই ভাঙা এলাকার হাবুল সরদার, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর এলাকার রাজু আহমেদ, টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার আরিফ, ধামরাই থানার কাঁচারাজাপুর এলাকার শাহাদাৎ হোসেন। এদেরকে সাভারের আশুলিয়া, পলাশবাড়ি ও ধামরাই থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম জানান, বাবলী আমাদের সংগঠনেরই। তাকে দলীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সেই সাথে তাকে বহিস্কার করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
ধামরাই থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন আগে কুল্লা ইউনিয়নের সিঁতি গ্রামে গরু চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। দুজনকে আটক করা হলে জিজ্ঞাসাবাদে বাবলী আক্তার নামে ওই তরুণীর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। পরে সাভার থেকে বাবলীকে গ্রেফতার করা হয়।
ধামরাই থানার ওসি নির্মল কুমার দাস জানান, ধামরাইয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় কয়েকটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে। ওইসব মামলার তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায় বাবলী নামের এক তরুণী গরুগুলো তার হেফাজতে রেখে বিক্রি করতেন। এই ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন