শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ফরিদপুর চরভদ্রাসন খাদ্যগুদাম হত ২০০ টন চাল ও ১০০ টন ধান গায়েবের অভিযোগ।

ফরিদপুর জেলাসংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০২২, ৭:৫২ পিএম

ফরিদপুর- চরভদ্রাসন উপজেলার সরকারি খাদ্যগুদাম হতে ২০২২ সালের বোরো সংগ্রহের প্রায় ২০০ টন বোরো চাল এবং প্রায় ১০০ টন বোরো ধান গায়েব হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার( ৮ নভেম্বর) গায়েবী এই বিয়টি জেলাখাদ্যনিয়ন্ত্রকের অফিসের আলোচনায় উঠে আসে।

প্রকাশ থাকে যে, বর্তমান জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রকের প্রমোশন জনিত ফেয়ারওয়েল নিয়ে জেলার সকল কর্মকর্তার গতকাল রাতে তথা সোমবার (৭ নভেম্বর) সকলে একটি বিশেষ আলোচনায় বসেন। এ সময় , চরভদ্রাসন উপজেলার একটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জেলাখাদ্যনিয়ন্ত্রক কে ফোনে অভিযোগ করেন, যে তিনি গত একাধিক মাসের ভিজিডির মাল পাননি।

তখন থেকেই গোপন তদন্ত করেন জেলা কর্তৃপক্ষ। কেঁচো খুড়তে বেরিয়ে পড়লো সাপ। উঠে আসলো চরভদ্রাসন উপজেলা এলএসডিতে প্রায় দুই শত মেঃটনঃ সংগ্রহের বোরো চাল এবং সংগ্রহের একশত মেঃটন বোরো ধান কম আছে বা গায়েব হয়েছে।

এবং গুদামের গচ্ছিত ৯০ ভাগ চাল পঁচা পোকায় ধরা এবং সর্বনিম্ন ময়েশচড়যুক্ত।

পাশা-পাশি একাধিক চেয়ারম্যান সাহেবদের প্রায় একশ টন ভিজিডির মালও তারা বুঝে পাননি বা গুদাম থেকে তারা নেননি, এমন কথাও শোনা যায়।

জানাযায়, চরভদ্রাসন খাদ্যগুদামের বিপরীতে তিনটি মিলের বীপরীতে ১৭৭ মেঃটনঃ বোরে চাল সংগ্রহ বরাদ্বের জন্য সরকারের সাথে চুক্তি হয়, হাজীগঞ্জের মিলার মোঃ খলিলুর রহমানের সাথে।

তার নিজ নামে হাজীগঞ্জ বাজারের আগে হলুদ মরিচ ভাঙ্গানো রিম্মি রাইচ মিল নামে একটা মিল, আছে এবং চরভদ্রাসনের মৌলবির চরবাজার ও চরভদ্রাসন এলাকার ইউসুফ রাইচ মিল এবং বদরউদ্দীন রাইচ মিল নামে দুটি অচল মিল খলিল ভাড়া নামা করে। মুলত দুটি মিলই বন্ধ অচল ও অকেজো।

নামে মিল আসলে অচল এই তিন মিলের নামে সংশ্লিষ্ট উপজেলার সাবেক টিসিএফ বা উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক নগদ সুবিধা নিয়ে বরাদ্ব পাইতে সুপারিশ করেন জেলা কর্মকর্তার কাছে।

তেমনি ২০২২ সালেও কাগজে কলমে সরকারি গুদামের বরাদ্ব দেখিয়ে মিলার খলিল এবং টিসিএফ মোঃ হারন অর রশিদের যোগসাজশে গুদামে চাল এবং ধান সরবরাহ না দিয়ে বস্তাসহ প্রায় ৪০ লাখ টাকার বোরে চাল এবং সংগ্রহের ধানের বিল গিলে খেয়েছেন।

নির্ভরযোগ্য সূত্রটি বলছে, টিসিএফ হারুন সাহেব সব কিছু নিজে তদারকি করায় উপজেলা খাদ্যকর্মকর্তা মোঃ সানোয়ার ছিল কাঠের পুতুল। এখন বিশাল অংকের সরকারের গায়েবী খবরে সকল অনিয়ম বেড়িয় পড়ছে।

প্রশ্ন উঠছে, গরূবের হক ভিজিডির চাল ৩/৪ মাস না নিয়ে যেনারা ওসিএলএসডির উপর দায় চাপাচ্ছেন তারা কেন দীর্ঘ সময় পাড় করে কর্মকর্তাকে চোর বানাচ্ছেন, এই বিষয়টিও বিচারবিভাগীয় এবং অফিসিয়াল বিভাগীয় আইনের আওতা আনার জোর দাবী উঠছে। অর্থ্যাৎ সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্হা নেওয়ার সুপারিশ উঠছে।

এই বিষয় ইনকিলাবের সাথে কথা হয়, নামে তিন মিলের মালিক মোঃ খলিলুর রহমানের সাথে, বলা হলো ৪০ লাখ টাকার সরকারি সম্পদ গায়েব করলেন, কিভাবে। তিনি বলেন আমি কিছু জানি না।

এই বিষয় চরভদ্রাসন ওসিএলএসডির মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া তার বক্তব্য নেয়া য়ায়নি।

ইনকিলাবের সাথে কথা সংশ্লিষ্ট উপজেলার দায়ীত্ব প্রাপ্ত বর্তমান টিসিএফ বা উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্ম কর্তা মোঃ তারিকুজ্জামানের সাথে তিনি বলেন, জেলাখাদ্যনিয়ন্ত্রক সাহেব বদলি যাচ্ছেন, আমি যদি অফিস প্রধানের দায়ীত্ব পাই তা হলে সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ বা তছরূপ যাহাই বলি কারো ক্ষমা হবে না।

তবে তিনি সকল অানিত অভিযোগের সত্যতাও গগনমার্গ কর্মীদের নিশ্চিত ও করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন