বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

পাকিস্তানকে কাঁদিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০২২, ৫:৫০ পিএম | আপডেট : ৬:০৬ পিএম, ১৩ নভেম্বর, ২০২২

পাকিস্তানকে কাঁদিয়ে টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারায় ইংলিশরা।
রোববার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালটা এমন একপেশে হবে কে জানতো? প্রতিশোধটা ইংলিশরা এমন করেই নিয়েছে যে ম্যাচে পাত্তাই পায়নি বাবর আজমের দল।

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের গ্যালারির ৮০ হাজার ৪৬২জন দর্শক সামনে রেখে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি জিতল ইংল্যান্ড। জমজমা ফাইনালে প্রথমে পাকিস্তানকে ১৩৭ রানে থামিয়ে দেয় ইংল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভারে ৫ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে ইংলিশরা।

 


মেলবোর্নে ৯২’র ইতিহাস ফিরিয়ে আনার সুযোগ ছিল বাবর আজমদের সামনে। কিন্তু তা আর হতে দিলেন না ইংরেজ বাহিনী। পূর্বসূরিদের হারের সেই বদলা নিলো তাদের অনুজরা। ইংলিশদের জয়ের কাজটুকু আগেই সহজ করে দিয়েছিলেন রশিদ, কারানরা।

আর ব্যাট হাতে বাকি কাজটুকু সারেন বাটলার, স্টোকস, মঈন আলিরা। শিরোপা জয়ে বল হাতে নেতৃত্ব দেন স্যাম কারান। আর ব্যাট হাতে ত্রাতা হয়েছিলেন বেন স্টোকস।

টস হেরে আগে ব্যাট করে পাকিস্তান ৮ উইকেটে ১৩৭ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ইংল্যান্ড ৬ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে ১৩৮ রান করে ম্যাচে জয় তুলে নেয়। সেই সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে দুইবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তোলে ইংলিশরা।

সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৭ রানেই উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালে ভারতীয় বোলারদের পাড়া মহল্লার বোলার বানিয়ে ফেলা ব্যাটার অ্যালেক্স হেলসকে দুর্দান্ত বোল্ড করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। দলীয় ৩২ রানে ফিল সল্টকে ইফতিখারের ক্যাচ বানিয়ে ইংলিশ শিবিরে দ্বিতীয় ধাক্কা দেন হারিস রউফ।

এরপর তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক বাটলার অলরাউন্ডার বেন স্টোকসকে নিয়ে ১৩ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৪৫ রানে বাটলারকে উইকেটের পেছনে রিজওয়ানের ক্যাচ বানিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান হারিস রউফ। এরপর ক্রিজে এসে দুটি বাউন্ডারি হাঁকান ফিল সল্ট। কিন্তু তিনিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি উইকেটে। হারিস রউফের বলে ইফতেখার আহমেদের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৯ বলে করেন ১০ রান।

দুই উইকেট হারানোর পরও চাপ অনুভব হচ্ছিল না ইংল্যান্ডের। কারণ উইকেটে ছিলেন দলের সবচেয়ে বড় ভরসা অধিনায়ক বাটলার। কিন্তু তাকেও ফিরিয়ে দেন হারিস রউফ। উইকেটের পেছনে রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৭ বলে ২৬ রান করা বাটলার আউট হন। ৪৫ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড।

এই চাপ সামলানোর দায়িত্ব নেন বেন স্টোকস। ‘বিগ ম্যাচ প্লেয়ার’ হিসেবে তার খ্যাতি আগে থেকেই। প্রথমে হ্যারি ব্রুকের সঙ্গে গড়েন ৩৯ রানের জুটি। ২৩ বলে ২০ রান করে শাদাব খানের বলে আউট হন ব্রুক। এরপর মনে হচ্ছিল কিছুটা চাপেই বোধ হয় পড়ে গেছে ইংল্যান্ড। কিন্তু বেন স্টোকস খেলতে থাকেন ঠাণ্ডা মাথায়। এর মধ্যে ফিল্ডিংয়ে কিছু সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি পাকিস্তান। স্টোকস মাঠে থেকেই দলকে জেতান আরও একটি বিশ্বকাপ।

৪৯ বলে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটিই তার প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। নিজের নামের সঙ্গে বসা বিশেষণেরই যেন স্বার্থকতা জানান দেন স্টোকস। মাঝে ১২ বলে ১৯ রান করেন মঈন আলি। এক ওভার হাতে রেখেই জিতে যায় ইংল্যান্ড।

রোববার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ইংলিশদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে ফাইনালে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি পাকিস্তান

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন