শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মির্জাগঞ্জে টোকেন দিয়ে থ্রী-হুইলারে চাঁদাবাজি

মির্জাগঞ্জ( পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০২২, ৩:৩১ পিএম

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় সুবিদখালী বাজার ব্রীজের উপরে শ্রমিক ইউনিয়ন ও থ্রী হুইলার মালিক সমিতির রশিদ দিয়ে অটোরিকশা, মাহিন্দ্র, সিএনজি, ট্রাক্টর, টলি থেকে কৌশলে জিম্মি করে প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগীদের চালকদের অভিযোগ, সুবিদখালী বাজার ব্রীজ পার হতে গেলে চিহ্নিত কয়েকজন ব্যক্তি প্রতিটি রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশা, টেম্পু, মাহেন্দ্রসহ অন্যান্য যানবহন থেকে থ্রি হুইলার মালিক সমিতি নামে ১০ ও শ্রমিক ইউনিয়নের রশিদের ১০ টাকা হারে জোরপূর্বক চাঁদা তোলেন। ফলে চাঁদা উত্তোলনকারীদের সাথে প্রায়ই যানবাহন চালকদের সাথে বাক-বিত-া লেগেই থাকে। ভুক্তভোগী এক চালক নাম না প্রকাশের শর্তে অভিযোগ করে বলেন, আমরা দিনরাত পরিশ্রম করে আয় করছি তা থেকে জোরপূর্বক থ্রি হুইলার মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের নামে ২০ টাকা করে চাঁদা দিতে হচ্ছে। আমরা কি এ অত্যাচার থেকে রেহাই পাবনা?
জানা যায়, পটুয়াখালী জেলা ট্যাক্সি, অটোরিক্সা অটোট্যাম্পু থ্রি হুইলার মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ- নং খুলনা ২৩৪১) সভাপতি আব্দুস সালামের তত্ত্বাবধানে ১ হাজার ৫০০ গাড়ি থেকে প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে রশিদ দিয়ে প্রতিটি গাড়ি থেকে মালিক সমিতি পরিচালনা ব্যয় ১০ টাকা ও শ্রমিক ইউনিয়ন পরিচালনা ব্যয় ১০ টাকা করে মোট ৩০ হাজার টাকা আদায় করেন। সংগঠনের পক্ষে এই চাঁদা আদায় করেন তসলিম নামের এক ব্যক্তি।
থ্রি হুইলার ও শ্রমিক ইউনিয়নের নামে চাঁদা উত্তোলনকারী তসলিম মিয়া বলেন, আমাকে যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেভাবেই চাঁদা তুলছি। এখানে অনেকের সাথে ঝগড়া লাগে কিন্তু কি করব। আমি তো বেতনে কাজ করি।
চাঁদা উত্তোলনের বিষয়ে মির্জাগঞ্জ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জোমোাদ্দার মুঠোফোনে বলেন, আমাদের কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে । টাকা পয়সা উত্তোলনের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই এবং আমি জড়িত নই। আমাদের নাম ব্যবহার করা হলে আইনানুগব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চাঁদা উত্তোলনের ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা টেক্সি, অটোরিকশা, অটোটেম্পু থ্রী হুইলার মালিক সমিতির (রেজিঃনং খুলনা-২৩৪১) সভাপতি আব্দুস সালামের মুঠোফোনে (০১৭১০-৯৪১২৯০) একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, এ ব্যাপারে আপনাদের কাছ থেকে শুনেছি । অবৈধভাবে কেউ চাঁদা উত্তোলন করেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া ফেরদৌসের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন