সদরপুরে দুই চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার হাটকৃষ্ণপুর বাজারের দখল নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে হাটকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের নিজ গ্রম এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম জালাল শেখ (৩৮)। সে একই ইউনিয়নের নিজগ্রাম এর শুকুর ফকির এর ছেলে। নিহত জালাল শেখ বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান তিতাসের সমর্থক বলে জানা যায়।
কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর বর্তমান চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান তিতাস ও সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন ফকিরের সমর্থকদের মধ্যে গত দুদিন ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে।
সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জালাল সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। গুরুতর অবস্থায় জালাল শেখকে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুব্রত গোলদার গণমাধ্যম কে জানান, একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, সদরপুর উপজেলার কৃৃষ্ণপুর ইউনিয়নের হাট কৃষ্ণপুর বাজারের দখল নিয়ে উক্ত ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল হোসেন ফকিরের গ্রুপের সাথে বর্তমান চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান তিতাসের গ্রুপের দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল।
এর আগে বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দুই পক্ষের কর্মী সমর্থকরা হাটকৃষ্ণপুর বাজারে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল হোসেন ফকির এর সমর্থক গিয়াস উদ্দিন তালুকদার (৪০) এর ডান হাতের কব্জি কেটে নেয় বর্তমান চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান তিতাসের সমর্থরা বলে অভিযোগ করেছে বেলাল ফকিরের সমর্থকরা।
আহত গিয়াস উদ্দিন তালুকদার একই ইউনিয়নের যাত্রাবাড়ি গ্রামের নয়ন তালুকদারের পুত্র। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে তার শারিরীক অবস্থায় অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বুধবার রাতে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে সদরপুর উপজেলার কৃৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান তিতাস ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল হোসেন ফকিরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া সম্ভব হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন