বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগে ৫ বার কাজ বন্ধ হওয়ার পরে আবারও নিম্ন-মানের কাদামিশ্রিত পাথর ও বালু দিয়ে ঢালাইয়ের কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। কাজের সিডিউলকে তোয়াক্কা না করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে এ নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। খোদ উপজেলা পরিষদের চত্বরে নির্মিতব্য এমন কাজের কারনে মসজিদ ভবনের স্থায়িত্ব ও মান নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এই মডেল মসজিদের নির্মানের কাজ শুরুর পর থেকেই অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এর আগে পাঁচ বার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ার সত্যতা স্বীকার করেন পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির।
বুধবার বেলা একটার দিকে সরেজমিনে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ চত্বরে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গণপূর্ত বিভাগের প্রতিনিধি মো. শরিফুল ইসলামের উপস্থিতিতেই সকাল থেকে নিম্নমানের সিলেট বালু ও নিম্নমানের কাদামিশ্রিত পাথর দিয়ে ডালাইয়ের কাজ চলছে। এ মিশ্রন দিয়েই সকাল থেকে মডেল মসজিদের ভিম ঢালাইয়ের কাজ করে যাচ্ছে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয় কাউন্সিলর আবুবকর সিদ্দিক
কাদা মাটির সংমিশ্রিত বালু ও পাথর দিয়ে সিসি ঢালাইয়ের অভিযোগ করলে তৎকালীন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ কাজ বন্ধ করে দেন। তিনি জানান, এর আগেও একই অভিযোগ ও নকশা অনুযায়ী কাজ না করার কারণে পাঁচ বার কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়।
পাথরঘাটা পৌরসভার কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাঁকন জানান, সরকারের মেঘা প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মডেল মসজিদ নির্মাণে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়েছে। সেই কাজেও অনিয়ম এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
এ ব্যাপারে বরগুনা গণপূর্ত বিভাগের ওয়ার্ক এসিস্ট্যান্ট মো. শরিফুল ইসলাম জানান, কাজে কোন অনিয়ম হচ্ছে না। তারা নিয়মের মধ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি দাঁড়িয়ে থাকার পরেও কাদা মিশ্রিত পাথর দিয়ে কিভাবে ঢালাইয়ের কাজ চলছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দেননি।
পাথরঘাটা মডেল মসজিদ নির্মাণের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সত্তাধিকারী তানভীর হোসেন দিপু মুঠোফোনে জানান, তারা সকল কিছু দেখে নিয়মের মধ্যেই শুরু থেকে কাজ করে আসছেন এবং কোন অনিয়ম করছেন না। একই অভিযোগে এর আগে ৫ বার কাজ বন্ধ হয়েছে বর্তমানেও সেই অভিযোগ পাওয়া গেছে তাহলে কিভাগে নিয়মের মধ্যে থেকে কাজ করছেন এমন প্রশ্ন করা হলে পরে এসে দেখা করবেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার জানান, অনিয়মের কারনে এর আগের এই মডেল মসজিদের কাজ বন্ধ করা হয়েছিল । আবারো একইভাবে অনিয়ম করে যাচ্ছে তারা। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে সুপারিশ করবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন