ঘন কুয়াশার কারণে মাদারীপুরের সড়ক-মহাসড়কে
যানবাহন চলাচলে ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোর থেকে
এক্সপ্রেসওয়েতে ধীরে চলাচল করছে বিভিন্ন রুটের দূরপাল্লার বাস।স্থানীয়
ছোট ছোট যানবাহনগুলোর অবস্থাও একই। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে
পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।
বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে শিবচর হাইওয়ে এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে ঘন
কুয়াশা। সামান্য দূরত্বেও গাড়ি-ঘোড়া দেখা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। জেলার
অন্যান্য সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের উপস্থিতিও কম।
শিবচর হাইওয়ে থানায় কথা বলে জানা গেছে, ভোরের আগ থেকেই চারদিকে ঘন
কুয়াশার কারণে যানবাহনের গতিতে নিয়ন্ত্রণ রাখতে বলা হয়। আলো ফোটার সঙ্গে
সঙ্গে কুয়াশার প্রভাবও বেশি দেখা যায়। মহাসড়কে সামান্য দূরত্বেও
দিকনির্ণয় করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এ সময় যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ রাখা
জরুরি। তবে, সকালে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত। দূরপাল্লার
যাত্রীবাহী বাস চলছে ধীরে। সবধরনের যানবাহনই ধীরে চলাচল করছে।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় কথা বলে জানা গেছে, নদী অববাহিকায় কুয়াশার
মাত্রা খুব বেশি। ফলে সেতুতেও যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। সকাল থেকে খুব
কম পরিবহন চলাচল করছে। সেতুতে ব্যাপক সাবধানতা অবল ও নজরদারি চলছে।
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মিসবাহ উদ্দীন
জানিয়েছেন, সকাল থেকে মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের টিম দায়িত্ব পালন করছে। যে
কোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তারা প্রস্তুত। সকাল থেকে সড়কে ঠাণ্ডার প্রভাব
ও পরিবহন কম থানায় নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন করা যাচ্ছে।
এদিকে কুয়াশার কারণে আঞ্চলিক সড়কগুলোতেও যানবাহনের সংখ্যা কম দেখা গেছে।
ঘরের বাইরে নিতান্তই প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বের হচ্ছেন না। ফলে হাট-বাজারেও
লোকজনের উপস্থিতি কম। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাসের শুরু
থেকে শীত পড়লেও ইদানীং বেশ কুয়াশা পড়ছে। এখনও শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়নি।
আগামীতে এমনভাব শুরু হলে প্রান্তিক লোকজনের টেকা দায় হয়ে পড়বে বলেও জানান
তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন