পিছিয়ে পড়ে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন। প্রবল লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত টানা দু’বার বিশ্বকাপ জিততে পারেনি ফ্রান্স। দলের হার মেনে নিতে না পেরে বিক্ষোভে ফেটে পড়ছিলেন সমর্থকরা। এবার ফুটবলারদের বর্ণ বিদ্বেষী আক্রমণ শুরু করলেন ফ্রান্সের ফুটবল সমর্থকরা। দলের তিন ফুটবলার চুয়ামেনি, মুয়ানি ও কোমানের বিরুদ্ধে বর্ণ বিদ্বেষী মন্তব্যে ভরে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া।
আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে বেশ সহজ একটি সুযোগ পেয়েও গোলে বল ঠেলতে পারেননি মুয়ানি। এরপর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি চুয়ামেনি ও কোমান। দুরন্ত গোলকিপিং করে দু’টি শট বাঁচিয়ে দেন আর্জেন্টিনার এমি মার্টিনেজ। হারের হতাশা থেকেই জাতীয় দলের কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবলারদের প্রতি অশালীন আক্রমণ শুরু করেন ফরাসিরা। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ইউরো কাপের ফাইনালে হারের পরে একই ভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল ইংল্যান্ডের ফুটবলারদের।
তবে এই আক্রমণের তীব্র প্রতিবাদ করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। তাদের দলের সদস্য কোমানের ছবি পোস্ট করে জার্মান ক্লাবের তরফে বলা হয়েছে, “কোমানকে যেভাবে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে, বায়ার্ন মিউনিখ তার তীব্র প্রতিবাদ করছে। আমাদের সমাজে জাতি বিদ্বেষের কোনও স্থান নেই। এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা কোমানের পাশে আছি।” তবে অপর দুই খেলোয়াড়ের ক্লাব থেকে এমন সমর্থন দেখা যায়নি। ফরাসি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের তরফেও এই আক্রমণ নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়া হয়নি।
তিন ফুটবলারের প্রতি জাতিবিদ্বেষী মন্তব্য করার বিরোধিতা করেছে মেটা। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার মালিক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ফুটবলারদের হেনস্তা করে যা কিছু পোস্ট ছিল, সেগুলি ডিলিট করে দেয়া হবে। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট কিছু শব্দ থাকলে সেই কমেন্ট বা মেসেজ যেন কেউ দেখতে না পান, সেই ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। তাছাড়াও ফুটবলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তারা যেন স্বাভাবিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে মেটা। সূত্র: লা রিপাবলিকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন