পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে ইনিংস শেষ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ রামিজ রাজার। পিসিবি-র প্রধান হিসাবে ফের দায়িত্বে সাবেক প্রশাসক নাজাম শেঠি।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে রাজা পিসিবি-র চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সদ্যই নিজেদের ঘরের মাঠে বাবর আজমের পাকিস্তান ০-৩ হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বেন স্টোকসের ইংল্যান্ডের কাছে। এই প্রথম পাকিস্তান তাদের ঘরের মাঠে লালবলের ক্রিকেটে চুনকাম হয়েছে। লজ্জার ইতিহাস লিখেছেন বাবররা। আর ঠিক তারপরেই ছাঁটাই হলেন রাজা। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বুধবার নাজামের নিয়োগে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
ইমরানের জোরাজুরিতেই কার্যত রাজা পাক বোর্ডের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তার দেশের ক্রিকেট বোর্ডের ৩৬ তম চেয়ারম্যান হয়েছিলেন গতবছর সেপ্টেম্বরে। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে চুটিয়ে ক্রিকেট খেলার পর রাজা ধারাভাষ্যকার হিসাবে কেরিয়ার শুরু করে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেন। এর পাশাপাশি টিভি ব্যক্তিত্ব ও ক্রিকেট পণ্ডিত হিসাবেও তিনি কাজ করছিলেন দাপটের সঙ্গে। পিসিবি-র প্যাট্রন-ইন-চিফ পদে থাকা ইমরান সরাসরি চেয়ারম্যান পদের জন্য রাজাকে মনোনীত করেছিলেন। রাজা জানিয়েও ছিলেন যে, যতদিন ইমরান সেদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তিনি ততদিন পর্যন্ত পিসিব-র দায়িত্ব সামলাবেন। কিন্তু গত এপ্রিলে শেহবাজ শরিফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই মনে করা হচ্ছিল যে, রাজার দিন ফুরিয়ে আসছে আবার। শাহবাজ প্রধানমন্ত্রী হলে যে, বোর্ডের মাথায় নাজাম ফিরবেন। সেকথা দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার ছিল।
রাজা দায়িত্ব নিয়ে ইমরানের কথা মেনে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটের চেহারা বদলের চেষ্টা করেন। হাফ ডজন প্রথম শ্রেণির দল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। রাজা পদে পেয়েই হেড কোচের পদ থেকে মিসবা-উল-হক ও বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিসকে সরিয়ে দেন। এখানেই শেষ নয়, তিনি লাহোরের হাই পারফরম্যান্স সেন্টার থেকে গ্রান্ট ব্র্যাডবার্ন সহ আরও কোচেদের পদত্যাগ করতে বলেন। পাকিস্তানের বোর্ডের সিইও পদ থেকে রাজা ওয়াসিম খানকেও সরিয়ে দেন। গতবছর টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য ম্যাথিউ হেডেন ও ভার্নন ফিল্যান্ডারকে কোচ করিয়ে নিয়ে এসেছিলেন রামিজ। ক্রিকেটের শো পিস ইভেন্টে পাকিস্তান দলের পারফরম্যান্স কথা বলেছিল। চলতি বছর পাকিস্তান টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালও খেলে। সূত্র: ট্রিবিউন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন