পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কিসমত শ্রীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীর(১০) শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো.জাকির হোসেন (৪০) ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের বাজিতে দ্বিতীয় খন্ডের ছত্তার হাওলাদারে ছেলে।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও ভুক্তভোগী ছাত্রীর কাছ থেকে জানা জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার স্কুল সংলগ্ন দোকানে কিছু কেনার জন্য যায় ওই ছাত্রী। তখন চতুর্থ শ্রেণীর সুরাইয়া নামের আরেক ছাত্রীকে ডাকতে পাঠায় জাকির হোসেন। সুরাইয়া তাকে ডেকে নিয়ে আসলে ক্লাসে গিয়ে বেঞ্চের উপরে বসে সে। এরপর পঞ্চম শ্রেণীতে বৃত্তি পাইয়ে দেওয়া এবং প্রথমস্থান অধিকার করিয়ে দেওয়ার কথা বলে কুপ্রস্তাব দিয়ে স্কুল ভবনের ছাদের রুমে যেতে বলে এবং স্পর্শকাতর স্থানসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয় অভিযুক্ত ওই শিক্ষক। তখন ওই ছাত্রী শিক্ষকের হাত ছিটা মেরে বের হয়ে এসে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়।
পরের দিন শুক্রবার সকালে জাকির ওই ছাত্রীর বাড়িতে এসে পরিবারের লোকজনের পা ধরে ক্ষমা চায় এবং বিষয়টি কাউকে না জানাতে বলে। পরে ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি প্রধান শিক্ষক শাহীন মজুমদারকে মৌখিকভাবে জানানো হয়।
ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজনে জানান,ঘটনার সুষ্ঠু মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে প্রধান শিক্ষক নানাভাবে কালক্ষেপণ করেন এবং ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। অভিযোগের ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সহকারী শিক্ষক মো.জাকির হোসেন বলেন, ক্লাসে ডেকে এনে তাকে ভাগ অংক করতে বলি। সে অংক না পারায় তাকে থাপ্পড় দেই । শ্লীলতাহানির কোন ঘটনা ঘটে নাই।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক শাহীন মজুমদার মুঠোফোনে বলেন, অভিযোগের বিষয়টি পরিবারের কাছ থেকে শুনেছি। সোমবার মীমাংসা করার কথা ছিল কিন্তু তারা কেউ আসেনি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রিয়াজুল হক বলেন, আপনাদের মাধ্যমে শুনতে পেরেছি। ঘটনার সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইয়েদা হাসান বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন