রাজশাহীতে একেকটি কবর ভাড়া নিতে গুনতে হচ্ছে সাড়ে ৫৭ লাখ টাকা করে। এই ফি পরিশোধ করলে মিলবে কবর সংরক্ষণের অনুমতি। সিটি করপোরেশন ফি নিয়ে অনুমতি দিচ্ছে। মেয়াদ ৯৯ বছর। তবু এ রকম উচ্চমূল্য দিয়েই বিত্তবানদের কবর পাকা করছেন তাদের স্বজনরা। তবে সিটি করপোরেশন বলছে, গোরস্তানে জায়গাসঙ্কুলান না হওয়ায় কবর পাকাকরণে নিরুৎসাহিত করতেই উচ্চহারে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। তবু এর পরও ঠেকানো যাচ্ছে না। বিত্তশালী অনেকে বিপুল অর্থ খরচ করে লিজ নিচ্ছেন কবর।
রাজশাহী মহানগরীতে সিটি করপোরেশন পরিচালিত কবরস্থানের সংখ্যা মাত্র ৯টি। এর মধ্যে হেতেম খাঁ, টিকাপাড়া ও মহিষবাথান গোরস্তান সবচেয়ে বড়। নগরীতে দিনকে দিন মানুষের বসবাস বাড়ছে। এর চাপ পড়েছে গোরস্তানগুলোতেও। ফলে সেখানে জায়গার সংকট তৈরি হয়েছে। তাই পুরনো কবর ভেঙে মাটি ফেলে নতুন করে কবরস্থান তৈরি করা হচ্ছে। গত বছর প্রথমবারের মতো এ ধরনের সংস্কারকাজ করা হয়। মহানগরীর গৌরহাঙ্গা, সপুরা, টিকাপাড়া, খোঁজাপুর ও হেতেম খাঁ কবরস্থানের পুরনো কবর ভেঙে নতুন জায়গা তৈরি করা হয়েছে। তবে বেশ কিছু পাকা কবর বহাল রয়েছে। কারণ, জায়গা কিনে কবরগুলো পাকা করা হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের গোরস্তান ও ঈদগাহ মাঠ উন্নয়ন সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল আহমেদ বলেন, ‘ধর্মীয় বিধানে কবর পাকা করা নিষিদ্ধ। আমাদের গোরস্তানগুলোতেও জায়গা সংকট দেখা দিচ্ছে। তাই সিটি করপোরেশন কবর পাকা না করতে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে ফি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে জায়গার সংকট না হয়। শুধু ছোট আকারে একটি বাঁশের খুঁটি দিয়ে টিনের নামফলক দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনকে কোনো ফি দিতে হবে না।’
হেতেম খাঁ আহলে হাদীস জামে মসজিদের ইমাম শায়খ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ইসলামে কবর সংরক্ষণ বা পাকাকরণ নিষিদ্ধ। পবিত্র মক্কা এবং মদিনাতেও এভাবে কবর পাকা করা নেই। কেউ যদি মৃতের রুহের মাগফেরাত কামনার জন্য কিছু করতে চান, তা হলে অবশ্যই দান-সদকা করতে হবে। কবর পাকা করে মৃত ব্যক্তির কোনো উপকার হবে না।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন