এশিয়ান হকি ফেডারেশন (এএইচএফ) আয়োজিত এএইচএফ কাপ অনূর্ধ্ব-২১ টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় যুব হকি দল। টুর্নামেন্ট শেষে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে বাংলাদেশের যুবাদের ঢাকায় ফেরার কথা ছিল শুক্রবার সকাল ১০টায়। কিন্তু আকাশে ঘন কুয়াশার কারণে লাল-সবুজদের দেশে ফিরতে প্রায় চার ঘণ্টা বিলম্ব হয়। জাতীয় যুব হকি দলকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটির ওমানের রাজধানী মাসকাট থেকে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল সিলেট হয়ে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে সিলেটে বিমান অবতরণ করতে না পেরে চলে যায় চট্টগ্রামে। সেখানে কিছু সময় অপেক্ষা করে কুয়াশা কাটলে ফের সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরতে দুপুর ২টা বেজে যায় বাংলাদেশ দলের। ঢাকায় ফেরার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চ্যাম্পিয়ন লাল-সবুজদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের (বাহফে) সভাপতি ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান। এসময় বাহফের সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ শিকদার, জাকি আহমেদ রিপনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাতে মাসকাটের সুলতান কাবুজ স্পোর্টস কমপ্লেক্সে এএইচএফ কাপ টুর্নামেন্টের ফাইনালে স্বাগতিক ওমানকে টাইব্রেকারে ৭-৬ গোলে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে অমিমাংসিত থাকলে পেনাল্টি শুটআউটে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়। রোমাঞ্চকর পেনাল্টি শুটআউটের প্রথম পাঁচটি শটের মধ্যে তিনটি করে গোল করে দু’দলই। ফলে খেলা গড়ায় সাডেন ডেথে। সেখানে দুই দলই পাল্লা দিয়ে গোল করছিল। এক পর্যায়ে বাংলাদেশ টানা চার গোল করলেও স্বাগতিক ওমানের তালাল বাইত গোল করতে ব্যর্থ হন। ফলে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়। তালাল প্রথম পাঁচ শুটআউটের মধ্যেও একবার মিস করেছিলেন। টুর্নামেন্টে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় শিরোপা জয়। ২০১৪ সালে ঢাকায় এএইচএফ কাপ অনূর্ধ্ব-২১ টুর্নামেন্টের ফাইনালে এই ওমানকেই ৪-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। এবার ফাইনালের আগে গ্রুপ পর্বে ‘বি’ পুলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৪-০ ব্যবধানে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে বাংলাদেশ। আর গ্রুপের শেষ ম্যাচে উজবেকিস্তানকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কাটে লাল-সবুজরা। সেমিতে থাইল্যান্ডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা পায় বাংলাদেশ। আর শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ওমানকে হারিয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করে কোচ মামুন-উর রশীদের শিষ্যরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন