শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম

রজব মাসে করণীয় ও বর্জনীয়

মাওলানা আবু আহমাদ মুসান্না | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

চলছে রজব মাস। কোরআনে বর্ণিত সম্মানিত মাসগুলোর মধ্যে একটি মাস হলো, এই রজব। আল্লাহ তা’য়ালার অসংখ্য গুণের একটি হলো বান্দার দোষ-ত্রæটি ক্ষমা করা। তিনি গুনাহগার বান্দাকে বিভিন্ন উসিলায় ক্ষমা করেন। মহান আল্লাহ তা’য়ালা তার সৃষ্টির প্রতি অনুগ্রহ করে বিভিন্ন ক্ষণে বিশেষ ফজিলত ও বরকত রেখেছেন, আর সেই সব ক্ষণগুলোতে ইবাদতে অফুরন্ত প্রতিদান দেয়ার ঘোষণা করেছেন। এ কারণে, অন্য মাসের মতোই রজব মাসেও বান্দাদেরকে ইবাদাতে উৎসাহদীপ্ত তৎপরতা দেখা যায়।

আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে পুরো আরবে বছরের মধ্যে চার মাস যুদ্ধ-বিগ্রহ বন্ধ থাকত। মহিমান্বিত রজব মাসে আরবে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ ছিল। হজরত রাসূল (সা.) সঙ্গী-সাথীদের রজব মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
এই মাসে মুহাম্মাদ (সা.) মেরাজে গমন করেন। রজব মাসের একটি বিশেষ দিন হচ্ছে শবে-মেরাজ। মেরাজ আরবি শব্দ যার বংলা অর্থ ঊর্ধ্বে গমন করা। মেরাজের ঘটনা সম্পর্কে কোরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছে, ‘পবিত্র ওই মহান সত্তা যিনি রাত্রি বেলায় তাঁর বান্দাকে মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন, যার আশপাশকে আমি বরকতময় করেছি। এটা এজন্য যাতে আমি তাকে আমার নিদর্শনাবলি দেখাতে পারি’। (সূরা বনী ইসরাইল : আয়াত ১)।
রজব মাসের করণীয় : আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত চারটি মাস, বিশেষ মর্যাদা এবং প্রভ‚ত সম্মানে ভ‚ষিত। যার অংশীদার রজবও। আল্লাহ তা’আলা বলেন : ‘হে মুমিনগণ, আল্লাহর নিদর্শনসমূহ (নিষিদ্ধ বস্তু) হালাল মনে করো না এবং সম্মানিত মাসসমূহকে’। (সূরা মায়েদা : আয়াত ২)।
অর্থাৎ আল্লাহ তা’আলার সংরক্ষিত, নিষিদ্ধ বস্তুসমূহ যেগুলোকে তিনি সম্মান প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন এবং অনাধিকার চর্চা হতে বারণ করেছেন, সেগুলোকে তোমরা হালাল মনে করো না। যার ভেতর ভ্রান্তবিশ্বাস, নিষিদ্ধ কাজ, উভয়ই অন্তর্ভুক্ত।
আল্লাহ তা’আলা বলেন : ‘এতে তোমরা নিজেদের ওপর অত্যাচার (ক্ষতিসাধন) করো না’। (সূরা তাওবা : ৩৬)। অর্থাৎ, সম্মানিত মাসগুলোতে। যেহেতু আল্লাহ তা’আলা এ মাসগুলোকে বিশেষ সম্মানে ভ‚ষিত করেছেন, তাই-এর সম্মান যথাযথ রক্ষা করা এবং এর মর্যাদা ও পবিত্রতার লক্ষ্য করত এতে কোনো গুনাহে লিপ্ত না হওয়া। তদুপরি জমানার পবিত্রতার কারণে, অপরাধ হয় জঘন্য ও মারাত্মক।
এ জন্যই আল্লাহ তা’আলা উল্লেখিত আয়াতের মাধ্যমে নিজেদের ওপর জুলুম না করার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যথায় স্বীয় নফসের ওপর জুলুম করা বা অন্য কোনো গুনাহে জড়িত হওয়া, সব মাসেই হারাম ও নিষিদ্ধ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন