টাঙ্গা্ইলের সখিপুরে আল আমিন (২০) নামে এক মাদরাসা ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার কালিয়ান হাফিজয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় মৃত্যুর এ ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানোর সময় মাদ্রাসার দায়িত্বশীল কেউ হাসপাতালে না যাওয়া,লাশের নাকে রক্ত ও মৃত্যু পরবর্তী মাদরাসা কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা সব মিলিয়ে এলাকাবাসীর কাছে আল আমিনের মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।জানা যায়, অন্যান্য রাতের মতো পড়া শেষ করে আল আমিন ঘুমিয়ে পড়ে। ফজরের সময় আল আমিন ঘুম থেকে না ওঠলে মাদ্রাসার শিক্ষক ও কয়েকজন শিক্ষার্থী আল আমিনকে ধাক্কা দিলে তার অচেতনের বিষয়টি বুঝতে পারেএবং হাত-পা ঠান্ডা হযে গেছে দেখতে পায়। পরে মাদরাসা থেকে আল আমিনের অসুস্থ হওয়ার খবর বাড়িতে ফোনে জানানো হয়। খবর পেয়ে আল আল আমিনের মা মাদরাসায় গিয়ে আল আমিনকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পায়। পরে সকাল আটটার দিকে মাদরাসার তিনজন ছাত্র ও আল আমিনের মা আল আমিনকে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আল আমিন কে মৃত ঘোষণা করেন।আল আমিনের বড় ভাই মিনহাজ জানায়, আমার ভাই আগেও অসুস্থ হইছিলো তবে কোনো মৃগী রোগ ছিলো না। মৃত্যুর পর আমার ভাইয়ের নাকের দুই ছিদ্রে রক্ত লেগে ছিলো।কালিয়ান হাফিজিয়া মাদদরাসা ও এতিমখানার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, আল আমিনের মৃগী রোগ ছিলো, ভোর রাতে আল আমিন অবস্থা গুরুতর জেনে ওর মাকে ডেকে এনে মাদরাসার তিনজন ছাত্রসহ সখিপুর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। এমন গুরুতর অবস্থায় আল আমিনকে হাসাপাতালে পাঠানোর সময় শিক্ষক বা সচেতন কাউকে সাথে না পাঠানোর কারণ জানতে চাইলে বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি।স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বহেড়াতৈল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ উজ্জ্বল হোসাইন বলেন, আল আমিনের মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ ময়নাতদন্ত ছাড়া তো আর বলা যাবেনা। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হবে।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো: রেজাউল করিম জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন