কলকাতায় অভিনেত্রী ও মডেলদের রহস্যজনক মৃত্যুর সারি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবী দে, বিদিশা দে মজুমদার ও মঞ্জুষা নিয়োগীর পর এবার এক উঠতি মডেল সরস্বতী দাসের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রবিবার (২৯ মে) তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কসবার বাসিন্দা সরস্বতী দাসের রহস্যজনক মৃত্যুতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে কোনও সুইসাইড নোট এখনও মেলেনি।
ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ১৯ বছর বয়সি সরস্বতী দাস সম্প্রতি কয়েকটি ফটোশুটের কাজ করেছিলেন। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে পুলিশের অনুমান ঘটনাটি আত্মহত্যার। কিন্তু কেন তিনি আত্মহত্যা করলেন তা এখনও অজানা। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোট বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলেন সরস্বতী। পরে মা-মাসির কাছেই বড় হওয়া। তাঁরা দুজনেই আয়ার কাজ করেন। শনিবার রাতে তাঁরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেই গলায় ফাঁস দেন সরস্বতী। বাড়িতে থাকা দিদা তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তিনিই ফাঁস কেটে নাতনিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
পরিবারের সদস্যরা আরো জানিয়েছে, সরস্বতী দাসের পড়াশোনা মাধ্যমিক পর্যন্ত। এরপর তিনি কাজ করতে মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে। এছাড়াও বেশ কিছু টিউশন করতেন। ছোটদের আঁকা শেখানোর কাজও তিনি করতেন।
এ নিয়ে, গত কয়েক দিনের ব্যবধানে কলকাতায় চার জন মডেল তথা অভিনেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। পেশাদার দুনিয়ার চাপই হোক কিংবা সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে যেভাবে উঠতি মডেল থেকে অভিনেত্রীরা জীবন শেষ করে দেওয়ার যে পদক্ষেপ নিচ্ছেন, তাতে বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে।
এর আগে, গরফায় পল্লবী দে’র ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়। গত বুধবার নাগেরবাজারের বাড়ি থেকে আর এক উঠতি মডেল বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়। এরপর গত শুক্রবার সকালে পাটুলির বাড়ি থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয় অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন