শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

মাশরাফির সিলেটই ফাইনালে

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

লক্ষ্য ১৮৩। মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে গত ক’দিনের হিসেবে এটি বেশ চ্যালেঞ্জিংই। তবে রনি তালুকদারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সেটিই এক সময় মনে হচ্ছিল মামুলি। শেষ দুই ওভারে পাল্টে যায় পাশার দান। সেই রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষ হাসিটা হেসেছে মাশরাফি বিন মুর্তাজার সিলেট স্ট্রাইকার্স। শ্বাসরুদ্ধকর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সকে ১৯ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিপিএলের ফাইনালে পৌঁছেছে সিলেঠের ফ্রাঞ্চাইজিটি। গতকাল শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ৭ উইকেটে সিলেটের দেয়া ১৮৩ রানের জবাব দিতে নেমে ১৬৩ রানে থমেকে যায় ৮ উইকেট হারানো রংপুর।
অথচ, রনি আর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের জুটিতে ম্যাচ অনেকটা মুঠোয় চলে এসেছিল রংপুরের। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে শেষ তিন ওভারে দরকার ছিল ৩৩ রান। এই দুজনকে তুলে নিয়ে নাটকীয়ভাবে খেলার মোড় ঘুরিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ১৭ ওভার শেষে রংপুরের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১৫০ রান। চোটে পড়া মুশফিকুর রহিমের মাঠে ফেরা নিয়ে কিছু একটা কারণে তখন মিনিট তিনেক বন্ধ থাকে খেলা। এরপরই ক্যাচ তুলে ফিরে যান সোহান। শেষ ১৮ বলে তারা আনতে পারে ¯্রফে ১৩ রান! সেখানেও আছে রোমাঞ্চ। শেষ ওভারে ২৮ রানের হিসেব মেলাতে বোলিংয়ে রুবেল হোসেন, ব্যাটিংয়ে শানাকা। প্রথম দুই বলেই দুটি চার মেরে রংপুরের গ্যালারি দিলেন উষ্কে। তবে পরের তিন বলে যা করলেন তাতে করে এই ম্যাচের নায়ক না হলেও পার্শ নায়ক হিসেবে নাম নিতে হবে অভিজ্ঞ এই পেসারের। বোলিংয়ে ভেরাইটি এনে একে একে দিলেন তিনটি ডট, বিরক্ত শানাকা যখন খেলতে গেলেন শেষ বল স্ট্যাম্প উপড়ে দিলেন তার!
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রান পেলেন নিয়মিত পারফর্মাররাই। সর্বোচ্চ ৪০ রান করেছেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত, আগ্রাসী না হলেও তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ২৫, আর প্রতি ম্যাচের মতো তিনে নেমে ১৬ বলে ১৮ রানের ঝড়ো ক্যামিও খেলেছেন মাশরাফি। শেষ দিকে থিসারা পেরেরা আর জর্জ লিন্ডের ২১ রান করে জোড়া ইনিংসও দিয়েছে জয়ের ভিত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন