অধ্যাপক মুহম্মদ মতিউর রহমান
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহ্ফুজউল্লাহ্ বর্তমান ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার অন্তর্গত নাওঘাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন [সার্টিফিকেটে তার জন্ম ১৯৩৬ সাল বলে উল্লেখ থাকলেও তিনি নিজে আমাকে তার প্রকৃত জন্ম সাল ১ জানুয়ারি ১৯৩৩ বলে জানিয়েছেন]। তার পিতার নাম আব্দুল আওয়াল এবং মাতা লুসিয়া খাতুন। ১৯৫৫ সালে ঢাকা কলেজ থেকে বিএ পাশ করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ ক্লাসে ভর্তি হন। এমএ প্রথম পর্বের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর সরকারি চাকরিতে যোগদান করার ফলে তিনি এমএ ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারেননি।
ছাত্রজীবনেই তার সাহিত্য-প্রতিভার উন্মেষ ঘটে। ঐ সময় তিনি পড়ালেখার পাশাপাশি সাংবাদিকতা পেশায়ও যুক্ত হন। প্রথমে তিনি মাসিক ‘দ্যুতি’ ও পরে ‘সৈনিক’ পত্রিকার সাথে যুক্ত হন। সাপ্তাহিক ‘সৈনিক’ পত্রিকা ভাষা আন্দোলনের সূচনাকারী প্রতিষ্ঠান ‘তমদ্দুন মজলিশ’-এর মুখপত্র ছিল। ভাষা আন্দোলনে এ পত্রিকার বলিষ্ঠ ভূমিকা সকলের প্রশংসা অর্জন করে। মাহ্ফুজউল্লাহ্ ঐ সময় ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালনের সাথে সাথে সাপ্তাহিক সৈনিক পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করতেন। ১৯৫৬ সালে মোহাম্মদ মাহ্ফুজউল্লাহ্ তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের বাংলা মুখপত্র সাহিত্য-সাময়িকী ‘মাহে নও’-এর সহ-সম্পাদক হিসাবে যোগদান করে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত উক্ত দায়িত্ব পালন করেন। অতঃপর তিনি মাসিক ‘পুবালী’ পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ‘পুবালী’ পত্রিকার সম্পাদক হিসাবে নাম ছাপা হতো এর মালিক-স্বত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ নূরুল ইসলামের। কিন্তু সম্পাদনার যাবতীয় দায়িত্ব পালন করতেন মোহাম্মদ মাহ্ফুজউল্লাহ্। তার যোগ্য সম্পাদনায় ‘পুবালী’ একটি উন্নতমানের সাহিত্য পত্রিকা হিসাবে খ্যাতি অর্জন করে। ঐ সময় তিনি কিছুদিন দৈনিক ‘জেহাদ’ পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। তিনি ‘নজরুল একাডেমী’র প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এর সাথে যুক্ত ছিলেন এবং আশির দশক পর্যন্ত ‘নজরুল একাডেমী পত্রিকা’র সম্পাদনা ও প্রকাশনার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি ‘দৈনিক পাকিস্তান’-এর (পরবর্তীতে ‘দৈনিক বাংলা’) ফিচার-এডিটর হিসাবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে সিনিয়র সহকারী সম্পাদক হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ‘নজরুল ইনিস্টিটিউট’-এর প্রতিষ্ঠাকালীন নির্বাহী পরিচালক হিসাবে ১৯৮৫-১৯৯৫ পর্যন্ত চুক্তির ভিত্তিতে নয় বছর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর পরিচালনা পরিষদের সদস্য এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রযতœ বোর্ডের সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘ফররুখ গবেষণা ফাউন্ডেশন’-এর অন্যতম উপদেষ্টা ছিলেন।
মোহাম্মদ মাহ্ফুজউল্লাহ্ ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এক অসামান্য সৃজনশীল ব্যক্তি। তিনি একাধারে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, গবেষণা, প্রবন্ধ, শিশুতোষ ছড়া-কবিতা, আলোচনা-সমালোচনা ও সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। কবি হিসাবে তিনি সমকালের একজন বহুল আলোচিত উল্লেখযোগ্য কবি-প্রতিভা হিসাবে পরিচিতি অর্জন করেন। পরবর্তীতে কবিতার পাশাপাশি গদ্য রচনায়ও তিনি অসাধারণ কৃতিত্ব ও খ্যাতি অর্জন করেন। এটা তার প্রতিভার বহুমাত্রিকতার স্বাক্ষর বহন করে। মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গোলাম মোস্তফা, কাজী নজরুল ইসলাম, জসীমউদ্দীন ও ফররুখ আহমদসহ অসংখ্য কবি-সাহিত্যিক সম্পর্কে তার মূল্যায়নধর্মী গ্রন্থ ও প্রবন্ধ-নিবন্ধ বাংলা গদ্যসাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। তার প্রকাশিত গ্রন্থের তালিকা :
কাব্য : ১. জুলেখার মন (১৯৫৯), ২. অন্ধকারে একা (১৯৬৬), ৩. রক্তিম হৃদয় (১৯৭০), ৪. আপন ভুবনে (১৯৭৫), ৫. মোহাম্মদ মাহ্ফুজউল্লাহ্র কাব্য-সম্ভার (১৯৮২), ৬. বৈরিতার হাতে বন্দী (১৯৯০), ৭. সময়ের বিমর্ষ দর্পণে (২০০৬), ৮. কবিতা সংগ্রহÑমোহাম্মদ মাহ্ফুজউল্লাহ (২০০১)। কয়েকটি সুদীর্ঘ ও সংলাপধর্মী কবিতাসহ তার অগ্রন্থিত কবিতার সংখ্যা প্রায় পাঁচশো।
প্রবন্ধ : ১. নজরুল ইসলাম ও আধুনিক বাংলা কবিতা (প্রথম প্রকাশ : মে, ১৯৬৩। ইতঃমধ্যে গ্রন্থটির তিনটি পরিবর্ধিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে।), ২. সমকালীন সাহিত্যের ধারা (প্রথম প্রকাশ : ১৯৬৫), ৩. সাহিত্য-সংস্কৃতি-জাতীয়তা (প্রথম প্রকাশ : ভাদ্র, ১৩৭৪), ৪. মধুসূদন-রবীন্দ্রনাথ (প্রথম প্রকাশ : পৌষ, ১৩৭৪), ৫. নজরুল-কাব্যের শিল্পরূপ (প্রথম প্রকাশ : জ্যৈষ্ঠ, ১৩৮০), ৬. সাহিত্য ও সাহিত্যিক (প্রথম প্রকাশ : মে, ১৯৭৮) ৭. বুদ্ধির মুক্তি ও রেনেসাঁ আন্দোলন (প্রথম প্রকাশ : জুলাই, ১৯৮০, ইতঃমধ্যে গ্রন্থটির তিনটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে), ৮. বাংলা কাব্যে মুসলিম ঐতিহ্য (প্রথম প্রকাশ : জ্যৈষ্ঠ, ১৩৭২ ইতঃমধ্যে গ্রন্থটির চতুর্থ সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে), ৯. কবিতা ও প্রসঙ্গ কথা (প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৬) ১০. সাহিত্যের রূপকার (প্রথম প্রকাশ : জুন, ১৯৮১), ১১. বাঙালী মুসলমানের মাতৃভাষা প্রীতি, ১২. মুসলিম বাংলার সাংবাদিকতা ও আবুল কালাম শামসুদ্দীন (প্রথম প্রকাশ : মার্চ, ১৯৮৩), ১৩. গোলাম মোস্তফা (জীবনী-গ্রন্থ) (প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৭), ১৪. সুফী মোতাহার হোসেন (জীবনী-গ্রন্থ) (প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৮), ১৫. কৈশোর কালের কথা ও সাহিত্য-জীবনের সূচনা পর্ব (১৯৯৮), ১৬. প্রাতিষ্ঠানিক নজরুল-চর্চার ইতিবৃত্ত (প্রথম প্রকাশ : জুন, ১৯৯৪), ১৭. ভাষা আন্দোলনে আবুল কালাম শামসুদ্দীন (প্রথম প্রকাশ : মার্চ, ১৯৮৯), ১৮. বিদ্রোহী ও জাতীয় কবি নজরুল (প্রথম প্রকাশ : মার্চ, ২০০১), ১৯. বাংলা কাব্যে ফররুখ আহমদ : তার শক্তি ও স্বাতন্ত্র্যের স্বরূপ (প্রথম প্রকাশ : অক্টোবর, ২০০৩), ২০. পূবালীর দিনগুলি ও সমকালীন সাহিত্য-সংস্কৃতি (২০০৫), ২১. ইতিহাস ও স্মৃতির আলোকে ঢাকা মহানগরীর সাহিত্য-সংস্কৃতি (২০০৫), ২২. ভাষা আন্দোলন যুগে যুগে (২০০৬), ২৩. বাংলা ভাষা যুগে যুগে (২০০৯), ২৪. নজরুল সঙ্গীত (২০১১), ২৫. আমার সাহিত্য জীবনের নেপথ্য কথা (২০১২), ২৬. যাদের হারিয়ে খুঁজি (রেখাচিত্র), ২৭. গঁংষরস ঞৎধফরঃরড়হ রহ ইবহমধষর খরঃবৎধঃঁৎব প্রভৃতি।
উপরোক্ত গ্রন্থ-তালিকা থেকে তার প্রতিভার বৈচিত্র্য-বিশালত্ব ও বহুমুখী প্রতিভার পরিচয় সুষ্পষ্ট হয়ে ওঠে : এছাড়াও মাহ্ফুজউল্লাহ্ বেশ কয়েকটি উপন্যাস ও ছোটগল্প রচনা করেছেন। তার রচিত উপন্যাস ‘পা-ুর আকাশ’ ‘মাসিক মোহাম্মদী’তে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। তার অন্য আরেকটি উপন্যাস ‘জীবন খাঁচার পাখী’ ‘সচিত্র স্বদেশ’ পত্রিকার ঈদ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। এছাড়া, তার রচিত প্রায় এক ডজনের অধিক ছোটগল্প বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। তবে তার রচিত গল্প-উপন্যাস এখনো গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়নি। এছাড়াও তিনি লিখেছেন শিশু-কিশোর সাহিত্য, গান, গীতিবিচিত্রা, নাটক ইত্যাদি। তার রচিত গানের সংখ্যা প্রায় আড়াইশ। তার অনেক গানে সূর দিয়েছেন প্রখ্যাত সুরকার সুধীন দাশ, নীলিশা দাশ, ধীর আলী মিয়া, আবদুল লতিফ, আবুবকর খান, খালিদ হোসেন প্রমুখ।
বায়ান্নর ঐতিহাসিক ভাষা-আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী মোহাম্মদ মাহ্ফুজউল্লাহ্ ‘বাংলা ভাষা’, ‘মাতৃভাষা’, ‘অমর একুশ’, ইত্যাদি বিষয়ে বহুসংখ্যক খ- কবিতা, দীর্ঘ কবিতা এবং সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতা রচনা করেছেন। স্বদেশপ্রেমিক, স্বজাতিপ্রেমিক, মাতৃভাষা-প্রেমিক মাহ্ফুজউল্লাহ্ স্বদেশ এবং স্বদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রাম, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও তার ফলে অর্জিত স্বাধীনতা সম্পর্কে অনেক কবিতা রচনা করেছেন।
মোহাম্মদ মাহ্ফুজউল্লাহ্ কাব্য-সাহিত্যে বিশিষ্ট অবদানের জন্য ১৯৭৭ সালে বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার ছাড়াও প্রবন্ধ-সমালোচনা সাহিত্যে বিশিষ্ট অবদানের জন্য ‘নজরুল স্মৃতি পুরস্কার’ (কলকাতা), আবুল মনসুর আহমদ সাহিত্য পুরস্কার, ভাষা আন্দোলনের অগ্রণী সংস্থা তমদ্দুন মজলিস প্রদত্ত ‘মাতৃভাষা পদক’ (২০০৩) এবং চট্টগ্রাম সংস্কৃতি কেন্দ্র প্রদত্ত ‘ফররুখ স্মৃতি পুরস্কার’ (২০০৪), একুশে পদক (২০০৭), ‘ফররুখ গবেষণা ফাউন্ডেশন পুরস্কার’ (২০০৮) লাভ করেন। সাংবাদিকতায় বিশিষ্ট অবদানের জন্য তিনি জাতীয় প্রেসক্লাব প্রদত্ত সম্মাননা পদক এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন প্রদত্ত সম্মাননা পদক ও সংবর্ধনা লাভ করেন।
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা যথাÑ কাব্য, প্রবন্ধ, উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক, গান ও শিশু-কিশোর সাহিত্যে মোহাম্মদ মাহ্ফুজউল্লাহ্র উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। তার রচিত গান, গল্প, উপন্যাস, নাটক ও শিশু-সাহিত্য এখনো গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়নি। এ যাবত তার মোট আটটি কাব্য ও ২৭টি প্রবন্ধ-গ্রন্থ প্রকাশিত হলেও এখনো অগ্রন্থিত কবিতা ও প্রবন্ধের সংখ্যা প্রায় এক হাজার বলে জানা যায় (বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী)। এ থেকে বাংলা সাহিত্যে তার ব্যাপক ও বিচিত্রতর অবদান সম্পর্কে সম্যক অবহিত হওয়া যায়। তার অগ্রন্থিত রচনাবলী গ্রন্থাকারে প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ এবং তার সম্যক মূল্যায়ন এখন সময়ের অপরিহার্য দাবি।
বাংলা কাব্যসাহিত্যে মোহাম্মদ মাহ্ফুজউল্লাহ্র অবদান অবিস্মরণীয়। তিনি প্রধানত গীতিকবি। তার কাব্য-চর্চায় বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অনুশীলনের প্রয়াস বিদ্যমান। প্রথম জীবনে তিনি ইসলামী পুনর্জাগরণের কবি ফররুখ আহমদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে মুসলিম ইতিহাস-ঐতিহ্যনির্ভর কবিতা রচনায় মনোযোগী হন। ভাষা ব্যবহারেও তিনি প্রথম জীবনে ফররুখ আহমদের অনুসরণে আরবি-ফারসি শব্দ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হন। পরবর্তীতে তিনি নিজস্ব স্বতন্ত্র ধারায় কাব্য চর্চা করেন। তার কবিতায় শব্দ, ছন্দ, রূপক-উপমা, প্রতীক-রূপকল্পের স্বচ্ছন্দ ব্যবহার সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তার কবিতার ভাব ও বিষয় বৈচিত্র্যপূর্ণ। তবে তা কখনো দুর্জেয়-দুর্বোধ্য মনে হয় না। এক অনাবিল স্নিগ্ধতা, সহজ-সরল অভিব্যক্তি, পরিচ্ছন্ন দৃষ্টিভঙ্গি, নিসর্গপ্রীতি, স্বদেশপ্রেম ও মানবিক আর্তির অন্তরঙ্গ প্রকাশ ঘটেছে তার কবিতায়। প্রধানত গীতিকবি হলেও তিনি অসংখ্য সনেট লিখেছেন। সংখ্যার দিক দিয়ে যেমন মানের দিক থেকেও তার সনেট বাংলা সাহিত্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য অবদান। তার সনেটের একটি আলাদা সংকলন হলে এক্ষেত্রে তার কবিকৃতির যথার্থ মূল্যায়ন সহজতর হতে পারে। তার রচিত শিশুতোষ ছড়া-কবিতা সম্পর্কেও একই কথা প্রযোজ্য। তার লেখা অসংখ্য শিশুতোষ ছড়া-কবিতা ভাব-বিষয় ও মানের দিক থেকে বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এগুলো নিয়েও একটি আলাদা সংকলন তার কবি-প্রতিভার মূল্যায়নে বিশেষ সহায়ক হতে পারে।
মোহাম্মদ মাহ্ফুজউল্লাহ্ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের এক অসামান্য কৃতি ব্যক্তিত্ব। কাব্য ও গদ্যের বিভিন্ন রূপ-রীতিতে তিনি অমূল্য অবদান রেখে গেছেন। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও তার দীর্ঘ কয়েক দশকের কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে প্রতিষ্ঠিত ‘নজরুল একাডেমী’ ও ‘নজরুল ইনস্টিউিট’-এ তার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। এছাড়া, বাংলা একাডেমী কর্তৃক প্রকাশিত জাতীয় কবির রচনাবলী সম্বলিত বারোখ- গ্রন্থ সম্পাদনায় তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তার অগ্রন্থিত রচনাবলী সংগ্রহ করে তা সত্বর গ্রন্থাকারে প্রকাশের জন্য জাতীয় মননের প্রতীক বাংলা একাডেমির প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ রাখছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন