স্থানীয় চাহিদা মেটাতে এবং রমজান মাসে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার চিনি আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রকমূলক শুল্ক ৫ শতাংশ কমিয়ে ৩০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ করেছে। রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ সংক্রান্ত গেজেট জারি করেছে। হ্রাসকৃত শুল্ক সুবিধা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ৩০ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
একইসঙ্গে সরকার অপরিশোধিত চিনি আমদানির ওপর থেকে টনপ্রতি ৩ হাজার টাকা এবং পরিশোধিত চিনির ওপর থেকে টনপ্রতি ৬ হাজার টাকা স্পেসিফিক ডিউটি (ডিউটি) প্রত্যাহার করেছে। স্থানীয় বাজারে চিনির দাম কমানোর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণাল প্রস্তাব দেয়ার পর এই পদক্ষেপ নেয়া হলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বাংলাদেশের বার্ষিক চিনির চাহিদা ১৮-২০ লাখ টন, আর দেশে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয় মাত্র ৩০ হাজার টন চিনি। দেশে প্রতি মাসে চিনির চাহিদা দেড় লাখ টন, যা রমজানে দ্বিগুণ হয়ে যায়। ২০২২ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালে চিনি আমদানি ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২ দশমিক ০৮ টন কমেছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন