জাতীয় পার্টির যুব সংগঠন জাতীয় যুবসংহতির
বগুড়া জেলা শাখায় এখন চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে।
গত ৪ মার্চ সংগঠনটির জেলা শাখার সম্মেলনের
পর থেকেই শুরু হয়েছে অস্থিরতা। সংগঠনের একটি বিরাট অংশ মনে করছে সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা যে কমিটির ঘোষণা দিয়েছেন। সম্মেলনে উপস্থিত নেতা কর্মিদের ইচ্ছের প্রতিফলন তাতে ঘটেনি।
সুত্রে জানা যায়, বছর দুয়েক আগে সংগঠনের তৎকালীন সভাপতি শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুককে আহ্বায়ক, বগুড়া জেলা জাপার সভাপতি ও বগুড়া আসনের সংসদ সদস্য হুসাইন শরীফ সঞ্চয়কে সদস্য সচিব এবং আব্দুল্লাহ আল মামুনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়।
এই আহ্বায়ক কমিটির দায়িত্ব ছিল বগুড়ার ১২ উপজেলায় নতুন কমিটি গঠনের পর জেলা সম্মেলনের আয়োজন করা। তবে এই দীর্ঘ সময়ে মাত্র দুটি উপজেলায় কমিটি গঠনের পর
গত ৪ মার্চ বগুড়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে
অনুষ্ঠিত হল জেলা সম্মেলন।
সম্মেলনে শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুককে সভাপতি ও হুসাইন শরীফ সঞ্চয়ের নেতৃত্বে একটি প্যানেল এবং আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং
মাকসুদের নেতৃত্বে আরেকটি প্যানেলের পক্ষে
ভোটাভোটির বদলে প্রকাশ্যে হাত তুলে সমর্থনের কথা বলা হয়।
এরফলে সভাস্থলে যুবনেতা মামুন এবং সঞ্চয়ের
পক্ষে অধিকাংশ কর্মি হাত তুলে সমর্থন করলেও
কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মামুনকে বাদ দিয়েই ফারুক ও
সঞ্চয়ের কমিটিকে বিজয়ী ঘোষণা দিয়ে চলে যান।
এই ঘটনায় সংগঠনটির বিপুলসংখ্যক নেতা কর্মির মধ্যে ক্ষোভ হতাশা ও অস্থিরতা চলছে বলে জানা গেছে। ক্ষুব্ধ অনেক নেতা কর্মিই বলেছেন, দল এভাবে চলতে থাকলে বিপদ ও কাজের সময় কর্মি খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে যুবসংহতি নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, সম্মেলন প্রক্রিয়া ও কমিটি ঘোষণা নিয়ে অনেকের মধ্যেই ক্ষোভ
হতাশা রয়েছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে
জানানোর প্রক্রিয়া চলছে। তার আশা তিনি ও তার সমর্থকরা প্রতিকার পাবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন