রফিকুল ইসলাম সেলিম : চলতি জানুয়ারি মাসেই শুরু হচ্ছে স্বপ্নের কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণকাজ। মহানগর অংশে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত প্রায়। কাজ চলছে আনোয়ারা অংশেরও। এর মধ্যে ঋণের টাকা ছাড়সংক্রান্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে কাজ শুরু হয়ে যাবে। চলতি মাসে টানেলের নির্মাণকাজ শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
গত ১৪ অক্টোবর কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিন পিং। কথা ছিল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণকাজ শুরু হবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন ঋণসংক্রান্ত জটিলতা না কাটায় কাজ শুরু হয়নি। এই মেগা প্রকল্পে মোট খরচ সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ২ শতাংশ সুদে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণসহায়তা দেবে চীন।
সর্বোচ্চ ১৫ বছরের মধ্যে যা পরিশোধ করতে হবে। সূত্র মতে ইতোমধ্যে ঋণের শর্ত পূরণ করেছে সরকার। এখন অপেক্ষা, চায়না এক্সিম ব্যাংকের ছাড়পত্রের। ছাড়পত্র পাওয়ার পর শুরু হবে টাকা পাওয়া। আর তখন কাজও শুরু করা যাবে পুরোদমে।
লুসাই কন্যা চট্টগ্রাম বন্দরের ধারক কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেলের দৈর্ঘ্য হবে ৩ হাজার ৫ মিটার (তিন কিলোমিটারের বেশি)। দু’পাড়ের সংযোগ সড়কসহ দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৫ কিলোমিটার। এর সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে টানেলের নির্মাণকাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের।
এই টানেল নদীর পূর্ব তীরের আনোয়ারা উপজেলা ও কর্ণফুলী উপজেলাকে চট্টগ্রাম মহানগরীর সঙ্গে যুক্ত করবে। পতেঙ্গা সৈকতের নেভাল পয়েন্টে শুরু হয়ে ওপারে আনোয়ারায় শেষ হবে টানেল। এটি হবে দেশের প্রথম টানেল। পতেঙ্গা উপকূলে নির্মাণাধীন আউটার রিং রোডের সাথে সংযুক্ত হবে এই টানেল। এটি চালু হলে সরকারের গৃহীত ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার অর্থনৈতিক করিডোর বাস্তবায়ন আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
এই টানেলকে ঘিরে অমিত সম্ভাবনার দুয়ার খোলার আশায় বাণিজ্য আর অর্থনৈতিক খাত সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, এই বিশাল কর্মযজ্ঞ ঘিরে নানা খাতে প্রবাহ বাড়বে বিনিয়োগের। চাঙা হবে ব্যাংকিং আর অভ্যন্তরীণ শিল্প খাত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন