স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের (এনআইসিভিডি) ভারপ্রাপ্ত নতুন পরিচালক হলেন ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট প্রফেসর আফজালুর রহমান। গত ২৮ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে পদায়ন করা হয়। তিনি হাসপাতালটির সাবেক পরিচালক প্রফেসর আবু আজমের স্থলাভিষিক্ত হলেন। তিনি স¤প্রতি বিশ্ব হৃদরোগ চিকিৎসক ও গবেষকদের শীর্ষ সংস্থা আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজির (এসিসি) ইন্টারন্যাশনাল গভর্নর নিযুক্ত হন।
জানা গেছে, প্রফেসর আফজালুর রহমান নাটোরের বড়াইগ্রামে একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৯২ সালে এনআইসিভিডি থেকে এমডি কার্ডিওলজি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সালে বার্মিংহাম, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামা মেডিক্যাল সেন্টারের সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কার্ডিওলজির ওপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর যুক্তরাজ্যের রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স অব গøাসগো এবং রয়াল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অব এডিনবার্গ থেকে এফআরসিপি অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফএসিসি ফেলোশিপ অর্জন করেন।
প্রফেসর আফজালুর রহমান ইতোপূর্বে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড মিটফোর্ড হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের ভিজিটিং কনসালটেন্ট। তিনি ওই হাসপাতালের ক্যাথল্যাব টেকনিশিয়ান ও নার্সদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে সেখানে ক্যাথল্যাবের কার্যক্রম শুরু এবং ২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রথম সফল এনজিওগ্রাম ও এনজিওপ্লাস্টি করেন।
প্রফেসর আফজালুর রহমান বাংলাদেশ সোসাইটি অব কার্ডিওভাসকুলার ইন্টারভেনশনের (বিএসসিআই) নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এবং বাংলা ইন্টারভেনশন থেরাপিউটিকসের (বিআইটি) চেয়ারম্যান ও কোর্স ডিরেক্টর। তিনি ট্রান্স ক্যাথেটার কার্ডিওভাসকুলার থেরাপিউটিকস (টিসিটি) ২০১৬, ইউএসএর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০৭ সালে টিসিটি ‘উইনার অব দ্য গ্রেটেস্ট কেস অ্যাওয়ার্ড অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড’ অর্জন করেন।
ইতোপূর্বে তিনি ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি এবং অ্যান্ডোভাসকুলার মেডিসিনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ যুক্তরাষ্ট্রের কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ টেকনোলজি (সিআরটি) থেকে ‘সিআরটি ২০০১৯ ইমার্জিং ইয়ং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন। তার লেখা ১৩০টির প্রবন্ধ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন