শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আফজালুর রহমান

| প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের (এনআইসিভিডি) ভারপ্রাপ্ত নতুন পরিচালক হলেন ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট প্রফেসর আফজালুর রহমান। গত ২৮ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে পদায়ন করা হয়। তিনি হাসপাতালটির সাবেক পরিচালক প্রফেসর আবু আজমের স্থলাভিষিক্ত হলেন। তিনি স¤প্রতি বিশ্ব হৃদরোগ চিকিৎসক ও গবেষকদের শীর্ষ সংস্থা আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজির (এসিসি) ইন্টারন্যাশনাল গভর্নর নিযুক্ত হন।
জানা গেছে, প্রফেসর আফজালুর রহমান নাটোরের বড়াইগ্রামে একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৯২ সালে এনআইসিভিডি থেকে এমডি কার্ডিওলজি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সালে বার্মিংহাম, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামা মেডিক্যাল সেন্টারের সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কার্ডিওলজির ওপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর যুক্তরাজ্যের রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স অব গøাসগো এবং রয়াল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অব এডিনবার্গ থেকে এফআরসিপি অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফএসিসি ফেলোশিপ অর্জন করেন।
প্রফেসর আফজালুর রহমান ইতোপূর্বে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড মিটফোর্ড হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের ভিজিটিং কনসালটেন্ট। তিনি ওই হাসপাতালের ক্যাথল্যাব টেকনিশিয়ান ও নার্সদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে সেখানে ক্যাথল্যাবের কার্যক্রম শুরু এবং ২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রথম সফল এনজিওগ্রাম ও এনজিওপ্লাস্টি করেন।
প্রফেসর আফজালুর রহমান বাংলাদেশ সোসাইটি অব কার্ডিওভাসকুলার ইন্টারভেনশনের (বিএসসিআই) নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এবং বাংলা ইন্টারভেনশন থেরাপিউটিকসের (বিআইটি) চেয়ারম্যান ও কোর্স ডিরেক্টর। তিনি ট্রান্স ক্যাথেটার কার্ডিওভাসকুলার থেরাপিউটিকস (টিসিটি) ২০১৬, ইউএসএর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০৭ সালে টিসিটি ‘উইনার অব দ্য গ্রেটেস্ট কেস অ্যাওয়ার্ড অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড’ অর্জন করেন।
ইতোপূর্বে তিনি ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি এবং অ্যান্ডোভাসকুলার মেডিসিনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ যুক্তরাষ্ট্রের কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ টেকনোলজি (সিআরটি) থেকে ‘সিআরটি ২০০১৯ ইমার্জিং ইয়ং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন। তার লেখা ১৩০টির প্রবন্ধ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মো: মাইন উদ্দিন ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:২৮ পিএম says : 0
আসলামুইকুম স্যার একটা অ হ্দরোগ হাসপাতালে ঘুস না দিলে কোন রুগির ভালো চিকিৎসা পাওয়া যায় না, যেমন ফ্রি বেডে তেমন কোন রুগি ভালো থাকতে পারে না, তার পর কি করে রুগির লোক জন ফ্রিং বেডের জন্য খুজ করে কি ভাবে নেওযা য়ায়, ফ্রিং বেড নিতে হলে ওয়ার্ড মহিলা বা ওয়ার্ড বয় কে বা গার্ড বা ক্রিলার ও আয়া খালারা, সবাই ঘুষ খায় টাকা দিলে সব বেডেই পাওয়া যায়, তবে চিষ্টরা খুবই ভালো, কোন ওয়ার্ড থেকে নিতে হুইল চেয়ার বা টলি দিয়ে রুগি নিতে গুনতে হয় ২০০থেকে ৩০০ টাকা , আর যদি কোন রুগি অপেরেশন থেকে কেবিনে আনা পযন্ত টলি দিয়ে যারা ভাড়া দিতে হয় ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা, কোন রুগি যদি ই সিজি করতে হয় সরকারি তা হলে ওয়ার্ড মহিলা যে দায়িত্ব থাকে তাকে দিতে হয় ২০০ টাকা, রুগির সিটের নিচে যে বল থাকে সেট পরিষ্কার করা জন্য প্রতি বেড রুগিকে দিতে হয় ২০ টাকা, বিশেষ করে নতুন বিল্ডিং লিফটের ৪ তলায় ৮ নং ওয়ার্ড লাখি নামে একটা মেয়ে বেশি রুগির লোকদের কাছ থেকে ঠেকিয়ে টাকা হাসিল করে নেয় ফ্রিং সিট বলে প্রতি সিট নিতে হলে তাকে দিতে হয় ২০০০ হাজার টাকা, আশা করি বিষয় গুলি সময় পেলে যথাযথ ব্যবাস্তা নিবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন