শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

ছাত্রলীগ নেতার হাতে ঢাবি শিক্ষক লাঞ্ছিত নেতার পক্ষে সাফাই গাইলেন ছাত্রলীগ সেক্রেটারি

| প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজীম উদ্দিন খানকে লাঞ্ছিত করেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা। শিক্ষককে লাঞ্ছিতকারী ছাত্রলীগ নেতার নাম মুনির হোসেন। তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি। এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন অভিযুক্ত নেতার পক্ষে সাফাই গাইলেন। তিনি বলেন, সে কি স্যারের সঙ্গে আরগুমেন্টও করতে পারবে না? এটা নিউজ হওয়ার মতো কিছু নয়।
শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ ক্যান্টিনে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, শিক্ষক তানজীম উদ্দিন খান দুপুরে আইবিএ ক্যান্টিনে খাবার খাচ্ছিলেন এমন সময় ছয়-সাতজন নেতা-কর্মী নিয়ে ক্যান্টিনে প্রবেশ করে মনির। এসময় ক্যান্টিনে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি ভিড় থাকায় খাবার দিতে বিলম্ব হয়। এতে ক্যান্টিনের কর্মচারীদের উপর চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিলেন এই ছাত্রলীগ নেতা। তখন ভুক্তভোগী শিক্ষক নিজের পরিচয় দিয়ে তাকে গালিগালাজ না করে সুন্দরভাবে কথা বলার অনুরোধ করেন। এতে ওই ছাত্রলীগ নেতা শিক্ষকের উপরেও চড়াও হন।
একপর্যায়ে শিক্ষক তানজীম উদ্দিন খান ক্যাশে টাকা দিতে আসলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ঘটনার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। জানতে চাইলে আবিদ আল হাসান বলেন, একটু তর্কাতর্কি হয়েছে। পরে স্যার ক্যাশে টাকা দিতে আসলে আমি স্যারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করি।
ক্যাম্পাসে ‘ছাত্রবান্ধব’ হিসেবে পরিচিত ওই শিক্ষক ঘটনার আকস্মিকতায় খাবার রেখেই ক্যান্টিন ত্যাগ করেন। ক্যান্টিন মালিক শামসুল হক (শামসু) জানান, প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার দুপুরে ওই শিক্ষক খাবার খেতে এলে একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক তানজীম উদ্দীন খান বলেন, ওই ছেলেটি (মনির) ক্যান্টিন বয়দের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল। তখন আমি তাকে মার্জিত ভাষায় কথা বলার অনুরোধ করলে, সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। তবে ওই শিক্ষকের উপর ক্ষিপ্ত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন ছাত্রলীগ নেতা মনির। স্যারের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়নি। ক্যান্টিন বয়কে একটু ধমক দিলে স্যার আমাদের নিষেধ করেন। এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, মনির ছেলে হিসেবে খুব ভালো সে স্যারের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে পারে না। তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সে বলছে খারাপ আচরণ হয়নি। স্যার তাকে শান্ত হতে বললে সে শান্ত হয়। তিনি বলেন, শিক্ষক হওয়ার কারণে কি তার সঙ্গে আরগুমেন্টও করা যাবে না নাকি? বেয়াদবী এক জিনিস আরগুমেন্ট আরেক জিনিস।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন