রাজশাহী ব্যুরো : শিক্ষানগরী রাজশাহীতে আরেকটি পালক যোগ হলো। শুরু হলো বঙ্গবন্ধু সিলিকন সিটির প্রাথমিক কাজ। গতকাল বিকেলে নগরীর নবীনগরে বঙ্গবন্ধু সিলিকন সিটির সড়কবাতি স্থাপন, ভ‚মি উন্নয়ন এবং অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, আয়েন উদ্দিন এমপি, হাইটেক কর্তৃপক্ষের এএমডি হোসনে আরা বেগম। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধু সিলিকন সিটি নির্মাণের সূচনা হলো। রাজশাহীতে ৩১ একর জায়গায় ২৩৮ কোটি টাকা ব্যায়ে স্থাপন করা বঙ্গবন্ধু সিলিকন সিটি নির্মাণ হলে ১৪ হাজার তরুণ-তরুণীর প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান হবে। যা নির্মাণ হবে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির আদলে।
যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিকো এবং সান হোসে এই দুই শহরের মাঝামাঝিতে ৩০০ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠা সিলিকন ভ্যালি ইন্টারনেট সংক্রান্ত আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত বিশ্বব্যাপী। গুগল, ফেসবুক, ইয়াহু, অ্যাপল, ইনটেল, এএমডি, এইচপি, ওরাকল, অ্যাডবির মতো বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যালয় এই সিলিকন ভ্যালিতেই। এ ছাড়াও রয়েছে তুলণামূলকভাবে ছোট কয়েক’শ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান।
গত ২৩ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু সিলিকন সিটির অনুমোদন দেয়া হয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩৮ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার নবীনগর মৌজায় গড়ে তোলা হবে এই সিলিকন সিটি। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য এবং মহানগর সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে তথ্যপ্রযুক্তি অনেকাংশে এগিয়ে গেছে। আমরা প্রত্যাশা করি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তিসেবা ফেসবুক, গুগল, হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্রতিষ্ঠান বা সেবা রাজশাহীতে তৈরি হবে। তৈরি হবে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ বিপুল জনশক্তি।
বঙ্গবন্ধু সিলিকন সিটি বাস্তবায়ন করতে আরো একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য একনেকে অনুমোদন পেয়েছে। সেটি হলোÑ পদ্মার তীর রক্ষা প্রকল্প। ২৬৮ কোটি টাকার প্রকল্পও একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়। ইতোমধ্যে এর টেন্ডারও হয়ে গেছে। কারণ বঙ্গবন্ধু সিলিকন সিটির কাজ করার পাশাপাশি পদ্মার তীর রক্ষা প্রকল্পেও কাজ করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন